যাদুকাটা নদী বন্ধে চক্রান্তে লিপ্ত একটি মহল

    0
    223

    তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ যাদুকাটা নদী শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমে যাই থাকুক না কেন প্রতিদিন ৩০হাজারের বেশী নারী,পুরুষ দিন মুজুর শ্রমিকগন বালু ও পাথর উত্তোলন করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে বংশ পরমপরায়। আর এই শ্রমিকদের দিয়ে অধিক মোনাফা লোভী একটি ব্যবসায়ী চক্র বর্ষায় বিভিন্ন স্থানে ১৫টাকা ফুট ধরে ক্রয় করে লাখ লাখ টাকার বালু ষ্টক করে রাখে। শুষ্ক মৌসুমে এই নদী বন্ধ করে ১৫টাকার বালু ৪০টাকায় বিক্রি করার তাদের উদ্যেশ্যেই।

    আর শুষ্ক মৌসুমে চাহিদাও বেড়ে যাওয়ায় অধিক মোনাফা লোভী ব্যবসায়ী চক্রটি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী নদী যাদুকাটা নদীর পুরোনো পাড় কাটার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রচার,প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দিয়ে এবং মিথ্যা বনোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে নদী বন্ধের পায়তারা করছে।
    জানাযায়,তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী যাদুকাটা নদীর বালু ও পাথর সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীদের অধিক চাহিদার কারনে মোনাফা লোভী একটি চক্রটি প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার লালপুর,গজারিয়া,দুলভপুর ও ছাতক উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে লাখ লাখ সেফটি বালু স্টক করে রেখেছে। যাদুকাটা নদী বন্ধ করতে পারলেই এই ষ্টক করা বালু ও পাথর কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যে করার উদ্দেশ্য। এজন্য ঐচক্রটি এখন যাদুকাটা নদীর পুরনো পাড় কাটার ছবি প্রচার করে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে হাজার হাজার শ্রমিকদের পেঠে লাথি মারার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। অথচ সরকারের কনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় এই যাদুকাটা নদীর ১২০হেক্টর জায়গা লিজে দেয়া হয়েছে এবং মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে এই নদীতে সাধারন শ্রমিকরা সেলু মেশিন দিয়ে হাতে কাজ-কাম করে বালু ও পাথর উত্তোলন করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে।
    শ্রমিকরা জানান,নদীতে কাজ করে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে কোন রখমে সংসার চলে নদী বন্ধ হলে না খয়ে থাকতে হবে। আমাদের কথা কেউ ভাবে না। প্রশাসন যেন ঐসব অপ্রপ্রচারকারীদের কঠোর হস্থে দমন করে তার দাবী জানাই।
    এব্যাপারে ইজারাদারগণ বলেন,এই ইজারার অধিকাংশ জায়গার অবস্থান হচ্ছে নদীর পাড়ে। পরিবেশ ও মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা নদীর পাড়ে না গিয়ে নদীর মধ্যেই বালু উত্তোলনের চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। গুটি কয়েক মুনাফালোভীরা তাদের হীন স্বার্থ হাসিলের জন্য অপতৎপরতা অব্যাহত থাকায় নদী বন্ধ হলে ৩০হাজার শ্রমিক পরিবারের লক্ষাধিক জনসংখ্যার অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করতে হবে এই অশংকায় তাদের জীবনে নেমে এসেছে চরম হতাশা। এছাড়াও যাদুকাটা নদী নিয়ে ঐ কুচক্রিমহল নদী বন্ধ করে রাজনৈতিক পতিপক্ষকে ফাঁসাতে গভীর স্বযন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
    তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত্য কর্মকর্তা(ওসি)আতিকুর রহমান জানান,যাদুকাটা নদীতে নিয়মের বাহিরে কোন অনিয়ম হলে পুলিশ কাউকে ছাড় দেবে না। সে যত বড় ক্ষমতাশালী হউক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
    তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যনার্জি বলেন,পরিবেশ সরকারী নিয়ম মেনে যাদুকাটা নদীতে বালু ও পাথর উত্তোলন করাসহ যে কোন কাজ করা যাবে এর ব্যাতয় ঘটলে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্থির ব্যবস্থা করা হবে। কোন ছাড় পাবে না কেউ।