ময়লার ভাগাড় স্থাপন রুখতে শ্রীমঙ্গলে মতবিনিময় সভা

    0
    242

    শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ইউনিয়নের জেটি রোডে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার ময়লার ভাগার নির্মাণ না করার জন্য দক্ষিণ ভাড়াউড়া, উত্তর ভাড়াউড়া, পশ্চিম ভাড়াউড়া গ্রামের প্রায় কয়েক শতাধিক লোক গত ২১ অক্টোবর রাত ৮ টায় শহরের খালেদ কমিউনিটি সেন্টারে এক মতবিনিময় সভা করেছেন।

    এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ফয়েজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় মুরব্বী গৌতম দেবনাথ। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন মো. আছাদ মিয়া, এম এ রহিম নোমানী, মো. আজিজ মিয়া, মো. সেলিম মিয়া, সুজিত চক্রবর্তী প্রমুখ।

    সভায় শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় বলেন, ২০১২ সাল হতে জেটি রোডে ময়লার ডিপো স্থাপনের যে আন্দোলন এলাকাবাসী করে আসছেন তা এখনও অব্যাহত আছে। সম্প্রতি আমি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহোদয়কে কথা দিয়েছি ময়লার ভাগাড়ে গাড়ি নিয়ে না যেতে যে গেইট নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে তা ভেঙ্গে ফেলতে হবে।

    মো. আছাদ মিয়া বলেন জীবন দিয়ে দেব তবুও মানুষের বসত বাড়ির ভিতরে ময়লা ফেলতে দেওয়া হবে না। যেই আসুক কাজ করতে দেওয়া হবে না।

    এম এ রহিম নোমানী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের টাকায় গেইট নির্মাণ করা হয়েছে কিভাবে? গেইট ভাঙ্গা হবে সেটা আমরা দেখে নিবো।

    এই কথা বলার সাথে সাথে উপস্থিত জনতা করতালি দিয়ে সমর্থন জানায়।

    মো. সেলিম মিয়া বলেন, যে জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে তাতে ময়লা ফেলার জায়গা নয়। এখানে লোকজনের বসতি আছে। আছে হিন্দুদের দুটি তীর্থস্থান, একটি মসজিদ রয়েছে। এখানে ময়লা ফেলা যাবে না। কেন এই জায়গা ময়লার ফেলার জন্য অধিগ্রহন করা হলো তা পরিবর্তন কওে পাহাড়ি এলাকায় অনেক খাস জমি আছে তা করা হোক। গ্রামের কৃষক শ্রমিক মেহনতী মানুষ এর দাত ভাঙ্গা জবাব দিবে।

    সুজিত চক্রবর্তী বলেন, জেটি রোডে ময়লা ফেলার জন্য শ্রীমঙ্গল পৌরসভা যে জায়গাটি অধিগ্রহন করা হয়েছে তাতে আমারও জায়গা আছে, কিন্তু আমি জায়গা দিতে রাজি নই, এক প্রকার জোড় করেই আমার জায়গা নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

    এদিকে ময়লার ভাগাড় নিয়ে মহামান্য হাইকোটে রয়েছে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা। গত তিন অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক , জেলা পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কলেজ রোডের ময়লার ভাগাড় নিয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এক বৈঠকে জেলা প্রশাসক সিদ্ধান্ত দেন বর্তমান স্থানে ৬ মাস ময়লা ফেলতে এবং তার পর হতে জেটি রোডে ময়লা ফেলার নির্দেশ দেন।

    এরই প্রেক্ষিতে এলাকাবাসী বাদি হয়ে যে রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থগিতাদেশ হয়েছে যদি ময়লার ডিপোর কাজ আরম্ভ হয় তাতে কেন আদালত অবমাননা হবে না জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়রকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে যেকোন উপায়ে জেটি রোডে ময়লার ডিপোতে ময়লা ফেলতে দেওয়া হবে না। এবং এরই প্রেক্ষিতে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ব্যাপারে একটি কমিটি করা হবে এবং সমাবেশের তারিখ ঘোষনা করা হবে। বর্তমানে যদি কেউ কাজ করতে আসে তাহলে তা প্রতিহত করা হবে। এ বিষয়ে এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে।