ম্যাংগো মিলিবাগ পোকা মানুষের কোনো ক্ষতি করে না

    0
    227

    আমারসিলেট24ডটকম,২৪এপ্রিলএকজন কীটতত্ত্ববিদের দাবি  তিনি বলেন,জায়ান্ট মিলিবাগ পোকা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই ।এই পোকা জনস্বাস্থ্যের জন্য কোনো হুমকি নয় এবং  মানুষের কোনো ক্ষতি করে না বলেও জানান তিনি।
    শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নূর মহল আখতার বানু, যিনি এ পোকার মরফোলজি, জীবনবৃত্তান্ত, বাংলাদেশে বিস্তৃতি, রাসায়নিক দমন, বোটানিক্যাল দমন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং এ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন, তিনি বলছেন, ম্যাংগো মিলিবাগ বা জায়ান্ট মিলিবাগ পোকা মানুষের সেই অর্থে কোনো ক্ষতি করে না। তবে সংবেদনশীল মানুষের শরীরের সংস্পর্শে এলে চুলকানি হতে পারে।
    সম্প্রতি রাজধানীর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে জায়ান্ট মিলিবাগ পোকার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে গণমাধ্যমে এই পোকা নিয়ে নানা প্রতিবেদন প্রচারিত হয়।
    ড. নূর মহল আখতারই বাংলাদেশে প্রথম এ পোকা নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি জানান,  ২০০৩ সালে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পোকা প্রথমে দেখা যায়। তবে তখন প্রাদুর্ভাব অনেক কম ছিল। ধীরে ধীরে পোকার পরিমাণ বাড়ছে এবং ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে।
    পাশের দেশ  ভারত, পাকিস্তান ও চীনে এই পোকার বিস্তার রয়েছে অনেক আগে থেকে। বাংলাদেশে ১২ জেলায় ২০১১ সালে জরিপ চালিয়ে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট, ফার্মগেটের খামারবাড়ি মোড় এলাকায়, পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাংগা পামুলী, ঠাকুরগাঁও জেলায়ও এই পোকার উপস্থিতি দেখা গেছে।
    এই পোকার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে নূর মহল বলেন, এই পোকা গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে রস চুষে নেয়। গাছের পাতা, শাখা, পুষ্পমঞ্জরি, ফল থেকে রস চুষে খাবার ফলে এই অংশগুলো শুকিয়ে যায় এবং পাতা, ফুল ও ফল ঝরে পড়ে। খুব বেশি মাত্রায় আক্রমণ হলে গাছে কোনো ফল আসে না এবং পুরো গাছটি মারা যেতে পারে।
    দেশে প্রায় ৭২ রকমের গাছে এই পোকার আক্রমণ লক্ষ করা গেছে উল্লেখ করে নূর মহল বলেন, এদের মধ্যে ফলগাছ, শোভাবর্ধনকারী গাছ, শাকসবজি, কাঠের গাছ, হেজ প্লান্ট এবং আগাছা অন্যতম। তবে এটি প্রধানত আমগাছের পোকা। এরা পেঁপে এবং কাঁঠাল গাছকেও মারাত্মকভাবে আক্রমণ করে। তিনি বলেন, জায়ান্ট মিলিবাগ পোকার আক্রমণ থেকে গাছকে বাঁচাতে হলে মে-জুন মাসে গাছের মাটিগুলো সরিয়ে রোদে রাখতে হবে যাতে এ পোকার ডিম নষ্ট হয়ে যায় কিংবা পাখি খেয়ে ফেলতে পারে।