মৌলভীবাজার পৌরসভায় চলছে রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণের কাজ

    0
    250

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৭নভেম্বর,হাবিবুর রহমান খানঃ   মৌলভীবাজার পৌরবাসীর স্বত:স্ফুর্ত সমর্থনে রাস্তা সম্প্রাসারণ ও ড্রেন নির্মাণ করছে পৌরসভা। মৌলভীবাজার পৌরসভার রাস্তা সম্প্রাসারণ ও ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে পুরোদমে। পৌরবাসীর স্বাচ্ছ্যন্দে চলাচল নিশ্চিত করতে পৌর মেয়রের আহবানে সাড়া দিয়ে রাস্তার উভয়পাশের বিভিন্ন বাসা-বাড়ির মালিকরা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিচ্ছেন জমি।যার ফলে যানজট ও জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে শহরবাসী। ১৯৮৭ইং সালে ৯টি ওয়ার্ডে ১০.৩৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তন নিয়ে গঠিত হয় মৌলভীবাজার পৌরসভা। বর্তমানে পৌরসভার নাগরিক প্রায় দেড় লক্ষাধিক। ১৯৯৩ সালে ক শ্রেণীর পৌরসভায় উক্তির্ণ হয় এই পৌরসভা। এরই ধারবাহিকতায় রাস্তার সম্প্রাসারণ ও ড্রেন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন বর্তমান মেয়র ফজলুর রহমান।

    পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার পৌরসভায় রাস্তা সম্প্রাসারণ ও ড্রেন নির্মাণের জন্য বর্তমানে ৩২ কোটি টাকার প্রজেক্টের কাজ চলছে। এরই মধ্যে প্রায় ৯ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডেই রাস্তা সম্প্রসারণ ও ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত সব এলাকার কাজ সম্পন্ন সম্ভব হবে। পূর্বে যে রাস্তা ছিলো ৮ ফিট, কোথাও ১১ ফিট, আবার কোথাও ৬ ফিট। এখন রাস্তাগুলো ১৪ থেকে ১৮ ফিটে সম্প্রসালন করা হচ্ছে।

    স্থানীয়রা জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়ণের ফলে মৌলভীবাজার পৌরসভার যানজট নিরসন ও পানি নিষ্কাষণ করা সম্ভব হবে। পূর্বে যে গলি দিয়ে একটি গাড়ি চলাচল করতে পারত এখন সেই গলি দিয়ে ২টি গাড়ি চলাচল করতে পারবে। জমির মালিক পৌরসভার আহবানে সাড়া দিয়ে স্বেচ্ছায় দেয়াল ভেঙ্গে দিচ্ছেন। সরেজমিনে পৌরসভার সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র:) দরগাহ এলাকায় দেখা যায়, ছোট মাজার থেকে হাসপাতাল রোড পর্যন্ত রাস্তা এতোটাই সরু ছিলো যে কার, মাইক্রোবাস চলাচলও কঠিন ছিলো। এই রাস্তাটি প্রশস্ত করে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে।

    ভাঙ্গা হচ্ছে বাসা-বাড়ির দেয়াল। মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান বলেন,রাস্তা সম্প্রাসারণ ও ড্রেন নির্মাণের কাজে মৌলভীবাজার শহরের মানুষ স্বত:স্ফর্ত সমর্থন পেয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের রাস্তার সম্প্রসারণ কাজে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছেন। মেয়র আর বলেন, প্রবাসীরা লন্ডন থেকে রাস্তা সম্প্রাসারণের জন্য জায়গা ছেড়ে দিচ্ছেন। এসব জায়গা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে জায়গা ছেড়ে দিচ্ছেন মালিকরা। এটি বাংলাদেশে একটি বিরল উদাহরণ হয়ে থাকবে। সকলের সহযোগিতার কারণে অল্প সময়েই রাস্তা গুলো প্রশস্ত হবে।