মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান নেতা আজিজ

    0
    220

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৩নভেম্বর,আলী হোসেন রাজনঃ বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, গণপরিষদ সদস্য আজিজুর রহমান। মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক হিসেবে তাঁর সততা ও অসাধারণ কর্মদক্ষতা মুগ্ধ করেছে সকলকে। দায়িত্ব নিয়ে ৫ বছরে জেলার ৭টি উপজেলায় প্রায় ৩৫ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছেন।  আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন আজিজুর রহমান।
    সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সুশীল সমাজ, পেশাজীবী, দলমত নির্বিশেষে সকল দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা মনে করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে আজিজুর রহমানের বিকল্প যোগ্য নেতা মৌলভীবাজারে আর নেই। তিনি এ জেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক মুরুব্বি। তাঁর মতো একজন মানুষকে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। একজন সাদামাঠা, স্বচ্ছ ও নির্লোভ জীবনযাপনের অধিকারী এই মানুষ তাঁর পুরোটা জীবনই মানুষের কাছে থেকে, মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।
    জেলা পরিষদ প্রশাসক হিসেবে ৫ বছরে আজিজুর রহমান জেলার প্রত্যন্ত অ লে ১২৯ কিলোমিটার ইট সলিং রাস্তা, ২৫৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২১৬টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ৩২টি স্যানিটেশন প্রকল্প, ৪টি যাত্রী ছাউনি, ব্রিজ, কালভার্ট, গভীর-অগভীর নলকূপ স্থাপনসহ ১৪৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন।
    এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বড়লেখায় পৌনে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এবং কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা করে ব্যয়ে ৫০০ আসন বিশিষ্ট অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল নির্মাণ। পর্যটন বিকাশে মাধবকুন্ড এবং শ্রীমঙ্গলে সোয়া ২ কোটি টাকা করে ব্যয়ে ৪তলা বিশিষ্ট আধুনিক ডাক বাংলো নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ৫০ লাখ টাকা করে ব্যয়ে রাজনগর ডিগ্রি কলেজ, শ্রীমঙ্গলে উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ কলেজ, সদরে সাধুহাটি আব্দুল বারী উচ্চ বিদ্যালয় এবং কুলাউড়ায় মনু মডেল কলেজে ভবন নির্মাণ ও অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সদর উপজেলার দুঘর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, ৩০ লক্ষ টাকা করে ব্যয়ে বড়লেখায় মুড়াউল উচ্চ বিদ্যালয়, হাকালুকি উচ্চ বিদ্যালয় এবং নারী শিক্ষা একাডেমির অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে।
    ৩৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সদর উপজেলায় বিষ্ণুপদ ধামের নাট মন্দির এবং ২৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আদমপুরে মণিপুরী সম্প্রদায়ের জন্য উন্মুক্ত ম  নির্মাণ করা হয়েছে।
    জেলার বিশিষ্টজন প্রবীণ চিকিৎসক ডা. গোপেশ চন্দ্র দাশ বলেন, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে এ রকম একজন মানুষের নাম শুনে আমি খুশি। আশা করছি পুরো মৌলভীবাজারবাসী খুশি হবেন। তিনি একজন সৎ, সাচ্চা, পেশাদার রাজনীতিবিদ। রাজনীতিই যার একমাত্র পেশা ও নেশা। জেলা পরিষদ প্রশাসক হিসেবে বিগত ৫ বছরে তাঁর কর্মতৎপরতায় সর্বত্র প্রশংসায় প মুখ।
    শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আব্দুল খালিক বলেন, তিনি এ জেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক মুরুব্বী। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সাহিত্যক্ষেত্রে তিনি আমাদের ছায়া। এ রকম একজন ছায়া আমাদের খুব দরকার। এ ধরনের মানুষ বাংলাদেশে খুব বেশি নেই। তাঁর পক্ষে দলমত নির্বিশেষে সকলের দাড়াঁনো উচিত।
    জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আব্দুল হামিদ মাহবুব বলেন, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে বিগত ৫ বছর দায়িত্ব পালন করে আজিজুর রহমান প্রমাণ করেছেন সততা, কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতায় তিনি সারাদেশে সবার শীর্ষে। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আজিজুর রহমানের সমপর্যায়ের নেতা মৌলভীবাজার তথা দেশেও বিরল। তিনি কখনো রাজনীতিকে পণ্য হিসেবে নেননি। জনগণের সেবার ব্রত নিয়ে রাজনীতিতে এসেছিলেন এবং আজ অবধি তাঁর অবস্থানে অটল আছেন। তাঁর মতো একজন মানুষকে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
    মনু নদীর তীর ঘেঁষে বেড়া ওঠা আজিজুর রহমানের প্রারম্ভিক জীবন নাট্যকর্মী হিসেবে, সাংস্কৃতিক অঙ্গণে। তারপর বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু। মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক ও সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে তাঁর রয়েছে অনন্য অবদান। তিনি বাংলাদেশের সংবিধানে স্বাক্ষরকারী অন্যতম নেতা। জেলা আওয়ামীলীগের সর্বোচ্চ দায়িত্ব থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন সততা ও নিষ্ঠার সাথে। ১৯৭০ সালে ২৭ বছর বয়সে গণপরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় হুইপ ও একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বৈষয়িক লোভ কখনই তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি।
    আজিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। কখনই আদর্শচ্যুত হইনি। তাঁরই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছি। বিগত ৫ বছর জেলা পরিষদ প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ সততা ও কর্মদক্ষতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করবার। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আগামী নির্বাচনে যদি কাজ করার সুযোগ হয়, চেষ্টা করবো সরকারের উন্নয়ন যাত্রায় আমার সর্বোচ্চ অবদান রাখার।