মৌলভীবাজারে বন্যায় রাস্তার বেহাল অবস্থা,গাড়ী চলাচলে বিঘ্ন

    0
    226

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৭জুলাই,হাবিবুর রহমান খানঃ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া- জুড়ী-বড়লেখা আঞ্চলিক মহা-সড়কের ১০ স্থান বন্যা তলিয়ে যাওয়ায় ৩০ জুন থেকে এ রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে এই ৩ উপজেলার জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হু হু করে বাড়তে থাকে জিনিসপত্রের দাম। বাধ্য হয়ে যাত্রীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে ২০ টাকা ভাড়ার দুরত্ব ১০০-১৫০ টাকায় ট্রাক্টর, পিকআপ ও পাওয়ার টিলারে ফাড়ি দিচ্ছেন।দীর্ঘদিন ধরে জানসাধারণ চরম দুর্ভোগের শিকার হলেও সড়ক মেরামতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ চরম উদাসীন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    জানা গেছে, ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে ২১ জুন থেকে কুলাউড়া- জুড়ী-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের জুড়ী উপজেলা কমপ্লেক্সের সম্মুখ, নাইট চৌমুহনী,জুড়ী বাজারের প্রভেশ বোড, উত্তর জাঙ্গীরাই, নবনির্মিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখ, বাছিরপুর, কুইয়াছড়া, পশ্চিম হাতলিয়াসহ ১০টি স্থানে পানি রাস্তার উপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হতে থাকে। পানির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করায় পিচ ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে একোন।

    অব্যাহত বর্ষণে সড়কের কোন কোন স্থান ৩-৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ৩০ জুন থেকে সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে কুলাউড়া,জুড়ী, বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার জনসাধারণ মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েন। তারা ২০ টাকা ভাড়ার দুরত্বে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় যাতায়াত করছেন।

    সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের উপর থেকে মাত্র ১ ইঞ্চি পানি কমতে দেখা গেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের শ্রমিকরা পানির নিচে তলিয়ে থাকা রাস্তায় সৃষ্ট গর্তে খোয়া ফেলার কাজ করলেও সরাসরি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে পারেনি। ভুক্তভোগী বশির উদ্দিন, আজিম উদ্দিন, লাল মিয়া, জয়নাল আবেদিন প্রমূখ অভিযোগ করেন রাস্তা মেরামতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চরম উদাসীনতায় হাজার মানুষকে ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

    তারা বলেন, ১০ বছর আগে থেকেই অতিবৃষ্টি হলেই এ স্থানগুলো তলিয়ে যায়। সব স্থান মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১ কিলোমিটারেরও কম রাস্তা মাত্র দুই ফুট উচু করলে বন্যার পানিতে তলিয়ে যেত না। যানবাহন, মালিক, চালক, যাত্রীসহ এলাকাবাসী গুরুত্বপুর্ণ এ সড়কের নিচু স্থানগুলো অবিলম্বে উচু করার দাবী জানিয়েছেন।

    সিএন্ডবি’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, কয়েকদিন পূর্ব থেকেই গর্ত ভরাটের চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তা শুরু করা যায়নি। কিছু পানি কমায় খোয়া ও ইট ফেলে গর্ত ভরাটের চেষ্টা চলছে। এ সড়কের নিচু স্থানগুলো উচু করার ব্যাপারে সওজ পরিকল্পনা করছে।