আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৩জুন,আলী হোসেন রাজন,মৌলভীবাজারঃ বালু উত্তোলনকারী কেউ কেউ ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করছে কেউ বা আবার ইজারা ছাড়াই অবৈধ প্রক্রিয়ায় ম্যানেজ করে মাসের পর মাস শ্রমিকদের দিয়ে বালু তুলে বিক্রি করছেন।
অনিয়ন্ত্রিতভাবে মৌলভীবাজার অবৈধ বালু উত্তোলন করছে। বাড়িঘর কবরস্থান, কালভাট সহ বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে আবার সরকার দলের নাম ব্যাবহার করে টাকা উত্তোলনের অভিযোগও রয়েছে।
সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও আবাসিক এলাকা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকলেও এসব মানছেন না মৌলভীবাজারের অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা । মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১২ নং গিয়াসনগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের শাহপুর এলাকার দুটি কালভাটের নিচ তেকে চলছে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু উত্তোলন। বৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকিতে পড়েছে পাকা সড়ক, সেতু, কালভার্ট।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে নিষেধাজ্ঞা না মেনে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়া সরকার দলের নাম ব্যাবহার করে মোকামবাজারের ডেউয়া ছড়া থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করছেন মো কামাল মিয়া । অনন্য দিকে গিয়াসনগরের শাহপুরে টুনটুনি ছড়া থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করছেন মো: আকাম মিয়া ও রমজান মিয়া।
সরেজমিনে গেলে সাংবাদিক দেখে পালিয়ে যায় অবৈধ বালু ব্যাবসাহী ও বালু উত্তোলন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা।
এলাকা বাসী বলছে শাহপুরের টুনটুনি ছড়া ও মোকামবাজারের ডেউয়া ছড়ারার ভিতরে মিশিন লাগিয়ে অবৈধ বালু তুলছে। অবৈধ বালু তুলার কারনে ছড়ার রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। হেলে পড়েছে ঘর-বাড়ি কবরস্থান সহ বিভিন্ন স্থাপনা। আর চা বাগানে কাজ না থাকায় পেটের ধায়ে ২শ টাকা মজুরীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের কাজে আসছে নারী চা শ্রমীকরা।
মোকাম বাজার ডেউয়া ছড়া থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করার সময় শ্রমিক আউয়াল মিয়া জানান গাছ ব্যাবসায়ী কামল মিয়ার কথায় আমি বালু তুলছি আমার কোন দুষ নেই।
গাছ ও বালু ব্যাবসায়ী কামাল মিয়ার সাথে সরেজমিনে দেখা করলে তিনি বলেন আমি আওয়ামীলীগ করি আর এই আওয়ামীলীগের জন্য আমি অনেক কষ্ট করেছি অনেক টাকা পয়সা আমার নষ্ট হয়েছে।
এখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় একটু এদিক সেদিক ত হবেই। তা ছারা মোকাম বাজারের অনেক গরীবরা আমার না ব্যাবহার করে ডেউয়া ছড়া থেকে বালু তুলে তাদের সংসার চালায়। তিনি আরো বলেন মৌলভীবাজারের বড় বড় সাংবাদিকদের সাথে কামাল মিয়ার ভালো সম্পর্ক আছে । এই বড় সাংবাদিকদের মধ্যে দুজন মৌলভীবাজারের সনাম ধন্য ব্যবসায়ী কামাল মিয়ার মামা লাগেন কোন সমস্যা হলে মামারাই শেল্টার দিয়ে থাকে।
এদিকে গিয়াসনগরের শাহপুরের টুনটুনি ছড়ার নারী চা শ্রমিক রতনা মালাকার বলেন এখানে আমাদের কোন দুষ নেই আমরা পেটের দায়ে কাজ করতে এসেছি দুষ যা হবে আকাম ও রমজানের। তারা আমাদের দিয়ে বালু তুলাছে কোনটা ভালো কোনা মন্দ আমরা কি করে বলবো। আকাম ও রমজানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা যায় নি।
হুসনে এন্টারপ্রাইজের মালিক সাজ্জাদুর রহমান মনাই জানান অবৈধ বালু ব্যাবসায়ীরা মোকাম বাজার ও টুনটুনি ছড়া থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করে কম দামে বালু বিক্রি করার কারনে গাবরুছড়া বালু মহাল ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করে মুল টাকা তুলতে পারছিনা
জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলাম জানান যারা অন্যায়ভাবে বা নীতি বহির্ভূত ভাবে বালু তুলছে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেয়ার হবে।
দ্রুত অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের আইনের আওয়াতায় নেয়ার দাবী ও বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা এখন প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয়রা।