মৌলভীবাজারে মনু ও ধলাই নদীর পানী বিপদসীমার উপরে

    0
    251

    “দুদিনের বৃষ্টিতে পানি বেড়ে বিপদ সীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে কমলগঞ্জে ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের ১টি ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করছে ফসলি জমিতে। ৯টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ। বন্যার আশঙ্কা”

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪জুন,বিক্রমজিত বর্ধন,নিজস্ব প্রতিনিধি:   টানা দুই-তিন দিনের বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানিতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার শরীফপুরে মনু নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

    অপর দিকে কমলগঞ্জে ধলাই নদের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রামেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী পার্থ।

    তিনি জানান, সৃৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে গত সোমবার (১১ জুন) সকাল থেকে মঙ্গলবার (১২ জুন) সারাদিন অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে মঙ্গলবার ভোর থেকে মনু ও ধলাই নদের ১১ফিট পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

    উজান থেকে নেমে আসা পাহিাড়ি ঢলের  স্রুোতের আঘাতে চাতলাপুর এলাকায় কুলাউড়ার মনু সেতু সংলগ্ন প্রতিরক্ষা বাঁধের উপর স্থাপিত বালির বস্তা ভেসে যেতেও শুরু করে। ঝুঁকিপূর্ণ মনু সেতুর উত্তর দিকের গাছের পাইলিংও ভেঙ্গে যেতে শুরু করেছে।

    কমলগঞ্জে কর্মরত পানি উন্নয়ন বোর্ডের পর্যবেক্ষক আব্দুল আউয়াল জানান যেভাবে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে ও তাতে ধলাই নদীর পানি আরও বাড়তে পারে।

    এদিকে কমলগঞ্জ করিমপুর গ্রাম এলাকায় পুরাতন প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বাদে করিম পুর গ্রামে ধলাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে জনপদে ও ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করছে বলে জানান, মুন্সিবাজার ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নওরোজ মিয়া। তিনি জানান, যত সময় যাচ্ছে দ্রুত গতিতে পানি বাড়ছে। ইতিমধ্যে এ দুই এলাকার কয়েকশত মানুষ পানি বন্ধী হয়ে পড়েছেন।

    এদিকে কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর, ইসলামপুর কমলগঞ্জ সদর ও আদমপুর ইউনিয়নে ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের আরও ৯টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে বলে জানান, ইউপি সদস্য নওরোজ মিয়া। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী বলেন, গত দুদিনে পানি বেড়েছে ১১ ফুট। আরও ২/৩ ফুট পানি বেড়ে গেলে বাঁধের উপর দিয়েই গ্রামে পানি প্রবেশ করবে।

    কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন আহমদ বলেন, বাদে করিমপুর গ্রামে ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে দ্রুত গেিতত পানি প্রবেশ করছে ফসলি জমিতে। প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে ২০

    হেক্টর জমির রোপিত আউশ ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। ডোবে গেছে পাকা সড়কসহ গ্রামীণ বিভিন্ন সড়ক। অনেকের বাড়ির উপর দিয়েও প্রবাহিত হচ্ছে পানি।

    এদিকে ধলাই নদীতে পানি বৃদ্ধি ও বাঁধ ভেঙ্গে মানুষজন পানি বন্ধীর সত্যতা নিশ্চিত করে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, উপজেলা প্রশাসন এ দিকে সতর্কতার সাথে নজরদারী করছে বলে জানান।