মৌলভীবাজারে প্রবাস ফেরতসহ ২৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে

    0
    215

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় প্রবাস ফেরতসহ ২১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা জানা গেছে । এদের মধ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ১৬ জন ও বড়লেখা উপজেলায় ২ জন ও ১ জন কুলাউরাসহ মোট  ২১জন কোয়ারেন্টাইন এ  রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে ।

    এর মধ্যে রোববার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলার সিভিল সার্জন ডা. তওহীদ আহমদ এর তথ্যে ৯ জনকে হোম  কোয়ারেন্টাইনে রাখার কথা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, প্রবাসীদের মধ্যে করোনা ভাইরাস জনিত কোন সমস্যা আছে কিনা সেটার জন্য তাদেরকে নিজ বাসায় ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ থাকতে বলা হয়েছে। সমস্যা দেখা দিলে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ দল স্যাম্পল নিয়ে যাবেন।

    অপর দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা  স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাজ্জাদ চৌধুরি রোববার সন্ধ্যায় আমার সিলেটকে বলেন, পৃথক দু ‘ইটি তারিখে ১৬ জন প্রবাসী শ্রীমঙ্গলে এসেছে। এদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষণ দেখা যায়নি, তারপরেও আমরা তাদের এডভাইস দিয়েছি  নিজ উদ্যোগে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ থাকার জন্য। এদের মধ্যে এখনো কোন সিম্পটম দেখা না গেলেও ৪/৫ দিন পরে সিম্পটম দেখা দিতে পারে,সে জন্য সতর্কতা জরুরী। যেহেতু আমাদের এখানে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য কিট নেই তাই যদি কোন লক্ষণ দেখা যায় তাহলে মহাখালী সেন্টারে আইডিসিআর হটলাইনে যোগাযোগ করার কথা বলা হয়েছে।তবে তাদের ঠিকানা আমার জানা নেই।

    উল্লেখ্য দেশে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৩১৪ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ,এ পর্যন্ত ১০ জন আইসোলেসনে আছেন বলেও জানান আইইডিসিআর পরিচালক।

    রবিবার দুপুরে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআর পরিচালক জানান, বিদেশ থেকে ফেরত আসা অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইন ঠিকভাবে মানছেন না। সে কারণে যারাই আসছেন, তাদের হজক্যাম্পের কোয়ারেন্টনাইনে পাঠানো হচ্ছে।

    ডা. ফ্লোরা  বলেন, শরীরের করোনার উপস্থিতি নেই, এটি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পরই বিদেশ-ফেরতদের বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে।

    আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, আক্রান্ত দেশ থেকে যারা এসেছেন হোম কোরারেন্টাইন কঠোরভাবে পালন করবেন। এ ব্যাপারে গাফিলতি করার কোনো সুযোগ নেই।

    তিনি পরিবারের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সম্ভব হলে আলাদা কক্ষে হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করবেন। আর তা সম্ভব না হলে অন্তত নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখবেন। এছাড়া কারও হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা না থাকলে যোগাযোগ করলে আইইডিসিআর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করবে বলে জানান পরিচালক।

    ডা. ফ্লোরা জানান, প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তারা অনেক সহযোগিতা পাচ্ছেন। কেউ হোম কোয়ান্টাইন না মানলে প্রতিবেশীরা তা জানিয়ে দিচ্ছেন। এছাড়া গণমাধ্যমও তাদের সহযোগিতা করছে। এ ব্যাপারে তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিশেষ সহযোগিতা কামনা করেন।

    প্রসঙ্গত,করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে আসলেই কেহ করোনা আক্রান্ত নয়, তবে সতর্কতা থাকা জরুরী। ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ থাকা মানে হচ্ছে নিজে  নিরাপদ এবং অন্যকে নিরাপদে থাকার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া এমনটিই সচেতনদের ধারনা।