মৌলভীবাজারে নদী খনন ও সুরক্ষিত বাঁধ চেয়ে মানববন্ধন

    0
    231
    সাইফুর রহমান চৌধুরী: মৌলভীবাজারে ‘মনু ধনাই নদী খনন চাই সুরক্ষিত বাঁধ চাই’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে মনু নদী খনন প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন ও মৌলভীবাজার শহর রক্ষা ও সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশ পরিবেশবাদী আন্দোলন (বাপা) জেলা কমিটির উদ্দোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
     
    আজ বুধবার সকাল ১১ঘটিকায় মৌলভীবাজার মনু নদীর চরে অবস্থান করে এই মানববন্ধন করা হয়।
    মানববন্ধনে বাপার জেলা সভাপতি আসম সালেহ সোয়েল এর সভাপতিত্বে ও সদস্য কয়ছর আহমদের সঞ্চালনায় সম্মিলিত সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ, মৌলভীবাজার বিজেনস ফোরাম, শাহ্ মোস্তফা রক্তসেবা ফাউন্ডেশন, মৌলভীবাজর সোস্যাল ক্লাব, মৌলভীবাজার বিএনএসপি চক্ষু হাসপাতাল, ভয়েস অব মৌলভীবাজার, শেখ বোরহান উদ্দিন (রহঃ)ইসলামী সোসাইটি, মৌলভীবাজার সাইক্লিস্ট ফোরাম, থার্স্ট নলেজ, মৌলভীবাজার মাদক বিরুধী সংগঠনসহ অর্ধশত সংগঠন ছাড়াও মৌলভীবাজার জেলার ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, ও এলাকার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
     
    মানববন্ধনের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান।
     
    তিনি বলেন অনেক আগে এই নদীর খনন কাজ শেষ হবার কথা ছিল কিন্ত এখনও কাজ শেষ হয় নাই। তিনি আরোও বলেন এ ব্যাপারে যথাযত কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চাপ প্রয়োগ করা হয়ে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার জন্য। এ ব্যাপারে কোন প্রকার অজুহাত গ্রহন করা হবে না। আমরা আশাকরি বর্ধিত সময় (তিনমাস) এর মধ্যে কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
    মানবন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মো. ফিরোজ মিয়া, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ মাহবুব, সাধারণ সম্পাদক সালেহ এলাহী কুটি, মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ডা. আব্দুল আহাদ, মৌলভীবাজার সম্মিলিত সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি খালেদ চৌধূরী, মৌলভীবাজার বিজনেস ফোরামের প্রেসিডেন্ট নুরুল ইসলাম কামরান, ভাইস প্রসিডেন্ট সুমন আহমদ, জয়েন্ট সেক্রেটারী শাহাদাত হোসেন, এম মুহিবুর রহমান মুহিব, আলিম উদ্দিন হালিম, সাইফুর রহমান চৌধুরীসহ প্রমূখ।
     
    বক্তারা অনতিবিলম্বে বর্ধিত সময়ের মধ্যে খনন ও বাঁধ নির্মান কাজ সম্পন্ন করে মৌলভীবাজার বাসীকে বন্যার কবল থেকে রক্ষার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি জোড় দাবি জানান। অন্যথায় জোরদার আন্দোলনের হুশিয়ারী দেয়া হয়।