মৌলভীবাজারে ধর্মঘটে নবজাতক শিশু মৃত্যুর জন্য দোষীদের

    0
    245

     বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন 

    সাইফুর রহমান চৌধুরী: মৌলভীবাজারে শ্রমিক ধর্মঘটে অরাজকতা সৃষ্টিকারী ও নবজাতক শিশুদের মৃত্যুর জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন পালন করেছে ইয়ুথ সোস্যাল অর্গানাইজেশন।

    শ্রমিক ধর্মঘটে অরাজকতা ও নবজাতক শিশুদের মৃত্যু, সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন পালন করেছে ইয়ুথ সোস্যাল অর্গানাইজেশন।

    আজ বুধবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০। ঘটিকায় মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন পালিত হয়। মানববন্ধনে ইয়ুথ সদস্যরা হাতে প্লে-কার্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানান।
    শ্রমিকদের আন্দোলনে নারী নির্যাতন, শিশুহত্যা এবং সাধারণ মানুষদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরা হয়। এসময় তিনটি দাবির কথা জানিয়েছেন ইয়ুথ সদস্যরা । দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করতে হবে, আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করা যাবে না এবং অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য রোগী বহনকারী গাড়ি চলাচল করতে দিতে হবে।

    এসময় ইয়ুথ সেক্রেটারি শেখ হাবিবুর রহমান হাবিবের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ইয়ুথ সভাপতি ওয়াসিম আহমেদ নিশান, বিআইএস এর সভাপতি এম. মুহিবুর রহমান মুহিব, সনাফ সেক্রেটারি শরীফ খালেদ সাইফুল্লাহ, শাহ মোস্তফা রক্তসেবা’ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাইফুর রহমান চৌধুরী, ইয়ুথ এর এক্সিকিউটিভ মেম্বার জাবেদুর রহমান সৌরভ, ডাঃ অংকন, এস.এম. বশির, ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী, হাসান জুবেল, এস এ ফাহিম, এনায়েত হাবিব, সাগর কর, ফয়েজ আহমেদ, বাবলু দাস, মাহবুবুর রহমান অপু, মনজুর আলম, তানভীর, সামীত, সাদিকুল ইসলাম অপু, সালমান আহমেদ, জুয়েল আহমেদ, মোহাম্মদ সাকিব, ফারহাম এ বকর, মাহরিয়ার আলম, মাহদি হাসান, হাসান আহমেদ, কনক পাল সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং মৃত শিশুর চাচা হাজী আকবর আলী ফুলু মিয়া।

    ইয়ুথ সভাপতি ওয়াসিম আহমেদ নিশান বলেন, সংবিধান যেকোনও রাষ্ট্রের নাগরিকদের আন্দোলন করার অধিকার দিয়েছে। এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। তবে আন্দোলনের নামে কোনও নাগরিকের চলাফেরা করার অধিকার এবং তাদের পথ অবরোধ করার অধিকার তাদের দেওয়া হয়নি। শ্রমিক ধর্মঘটে অরাজকতার কারনে যে শিশুটি মারা গেছে, এটাকে আমরা মৃত্যু বলতে পারি না। এটা একটি স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড। আমরা শ্রমিকদের আন্দোলনের বিপক্ষে না। কিন্ত এধরনের অরাজকতা কোনও শ্রমিক করতে পারে না। আমরা এই স্বাধীন বাংলার নাগরীক হিসেবে এসব অরাজকতা মেনে নিতে পারি না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
    ইয়ুথ সোস্যাল অর্গানাইজেশন সদস্যরা বলেন, দাবি আদায়ের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকরা চাইলে একজন নারীকে লাঞ্ছনা করতে পারেন না। শ্রমিক ধর্মঘটে আমরা যেধরনের দৃশ্য দেখতে পেয়েছি, তা খুবই নৃশংস। আমরা মনে করি রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে তারা আন্দোলন করতে পারে। কিন্তু তারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে না। এধরনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে ইয়ুথ সোস্যাল অর্গানাইজেশনের সদস্য হিসেবে আমরা নিন্দা জানাই।