মৌলভীবাজারে দুই শিশু সন্তানের জনকের লাশ উদ্ধার

    0
    241

    মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ  মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের অন্তর্গত লাইংলা এলাকার আনিকেলিবড় গ্রামের বাইনকার একটি ছড়া (খারা গাং) থেকে মেরাজ মিয়া (৪০), পিতা আলতা মিয়া নামে ২ সন্তানের জনক এক ব্যক্তির শরীরে ও মুখ মণ্ডলে প্রচুর জখমযুক্ত লাশ উদ্ধার করেছে মৌলভীবাজার থানা পুলিশ।এ ঘটনায় সন্দেহ মূলক মৃতের ৪ সহোদর ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।

    স্ত্রীর অভিযোগে জানা গেছে বৃহস্পতিবার ইফতারের পর থেকে নিখোঁজ থাকা মেরাজ আলীকে পরিবারের লোকজনের কেহ কোথাও খোঁজ করেনি এমন কি আমাকেও জানায়নি কেহ।

    পারিবারিক সুত্রে আরও জানা গেছে,আজ থেকে ৪/৫ দিন আগে মৃতের স্ত্রী তার দুই শিশু সন্তান (৪) ও (৮) কে নিয়ে বাবার বাড়ি শ্রীমঙ্গলের আশিদ্রুন এলাকায় অসুস্থ ভাইকে দেখতে চলে যান। এ সময় মেরাজ নিজের ঘরে একাই থাকতেন এবং পাশের ঘরে তার ভাইয়েরা বসবাস করে থাকেন।

    স্থানীয় সংবাদ এর ভিত্তিতে আজ শুক্রবার বিকাল ৩ টার দিকে মৌলভীবাজার সদর থানার পুলিশের একটি দল বানকা এলাকার একটি ছড়া (খারা গাং) থেকে মৃত মেরাজের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। এ সময় দেখা গেছে লাশের গায়ে প্রচুর জখমের চিহ্ন।পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে এবং এই ঘটনায় সন্দেহমূলক মৃতের চার ভাইকে আটক করেছে । আটককৃতরা হলো  নিহতের ছোট ভাই ফজলু (৩৮),খছ্রু মিয়া (২৮),নজরুল মিয়া (২৬),বদরুল মিয়া (২৩) সর্ব পিতা আলতা মিয়া, সর্বসাং গিয়াসনগর ইউনিয়নের অন্তর্গত লাইংলা এলাকার আনিকেলিবড় গ্রামে।

    পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে,তার স্ত্রী গত ৪/৫ দিন পূর্বে শ্রীমঙ্গল আশিদ্রোন এলাকায় বাবার বাড়িতে অসুস্থ ভাইকে  দেখতে চলে গেলে মেরাজ নিজ বাড়িতেই একা অবস্থান করছিলেন। খুনের ব্যাপারে নিহতের স্ত্রীর সুত্রে তার ভাই খালেদ আমার সিলেটকে জানান,”বাড়িতে একটি নতুন ছিপনী (রান্না ঘর) বানানো নিয়ে বিরোধ ছিল।

    স্থানীয় অপর একটি সুত্রে জানা গেছে “ঘটনার দিন ভাইদের মধ্যে ঝগড়া চলছিলো তবে খুন খারাবির মতো কিছু আঁচ করতে পারেনি।”

    মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান জানান, নিহতের শরিরে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।