মৌলভীবাজারে তলিয়ে গেছে ২০ হাজার হেক্টর জমির ফসল

    0
    341

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,০৬এপ্রিল,এস কে দাশ সুমন: দেশের  উত্তর  পূর্বাঞ্চল  তথা  সিলেট  বিভাগের  বিভিন্ন  উপজেলায়  গত  কয়েকদিনের  অতি  বৃষ্টি  ও  পাহাড়ি  ঢলে  তলিয়ে  গেছে  বুরো  ফসলের  ক্ষেত।  মৌলভীবাজার  জেলার  সাতটি  উপজেলার  সহস্রাধিক  হেক্টর  বোরো  ফসল  পাহাড়ি  ঢলে  পানির  নিচে  তলিয়ে  যায়।  ক্ষতিগ্রস্ত   কৃষকরা  জানায়  পাহাড়ি  ঢলের  কারনে  জমির  ফসল  নষ্ট  হওয়ায়  বাধ্য  হয়ে  সামান্য  ধান  বাঁচাতে  আধা  পাকা  ও  কাঁচা  ধান  কেটে  নিয়ে  আসি  কিন্তু  তাতেও  শেষ  রক্ষা  হয়নি  ধানগুলো  হাওরপাড়ে  নিয়ে  আসলেও  ধানে  চিটার  অধিক্য  থাকায়  চরম  ক্ষতির  সম্মুখীন  হয়েছেন  কৃষকরা ।

    কৃষকরা  অভিযোগ  করেন  বিগত  বছর  গুলোতেও  আমন  ফসল  পানিতে  নষ্ট  হওয়ার  পর  চলতি  বছর  ব্যাংক থেকে  চড়া  সুদে ঋণ  গ্রহন  করেছি, মহাজনদের  কাছ  থেকেও  কঠিন  শর্তে  টাকা  ধার  নিয়েছি  পুরো  টাকাটাই  বোরো  ফসল  চাষ  করতে  খরচ হয়।  কিন্তু  পানির  নিচে  ধান  তলিয়ে  যাবার  কারণে  আমন  ফসল  ও  বোরো  ফসল  ঘরে  তুলতে  না  পেরে  এখন  আমরা  দিশেহারা  কিভাবে  শোধ  করবো  ঋণের  টাকা।

    এদিকে  প্রবল  বৃষ্টিপাত  ও  পাহাড়ি  ঢলের  কারনে  মৌলভীবাজার  জেলা  সদর, কমলগঞ্জ, রাজনগর, শ্রীমঙ্গল, বড়লেখা, কুলাউড়া  ও  জুড়ি  উপজেলার  হাওর  অঞ্চলের  ফসলি  জমির  আধা পাকা  ও  কাঁচা বোরো  ধানের  ক্ষেত  পানির  নিচে  তলিয়ে  যায় । মৌলভীবাজারের  হাকালুকি  হাওর, কাউয়াদিঘি  হাওর  ও  হাইল  হাওর  পাড়ের  মানুষের  জীবিকার  একমাত্র  উৎস  বুরো  ফসলের  ক্ষেত  নষ্ট  হয়ে  যায়।

    মৌলভীবাজার  জেলা  কৃষি  সম্প্রসারণ  অধিদপ্তর  মতে, জেলার  মধ্যে  উপজেলা  সদরে  ৪৩  হেক্টর, শ্রীমঙ্গলে  ১৫  হেক্টর, রাজনগরে  ২৫  হেক্টর, কমলগঞ্জে ১০  হেক্টর, কুলাউড়া  ৪৮  হেক্টর, বড়লেখা  ৫৬  হেক্টর ও  জুড়ী  উপজেলায়  ৪২  হেক্টর  মিলে  সারা  জেলায়  সরকারিভাবে  ক্ষতিগ্রস্থ  বোরো  ফসলের  পরিমাণ  নির্ণয়  করা  হয়েছে  মাত্র  ২৩৯  হেক্টর।  এছাড়া  ক্ষতিগ্রস্থ  কৃষক  হলো  ১  হাজার  ১৬৭ জন।  কিন্তু  কৃষকরা  জানায়  জেলা  কৃষি  বিভাগের  তথ্য  বিভ্রান্তি  ছড়াচ্ছে  জনমনে।

    অতিরিক্ত  পানির  স্রোতের  কারনে  মাছের  ঘেরের  পাড়  ক্ষতিগ্রস্থ  হয়ে  ফিসারিতে  চাষ  করা  মাছ  উধাও  হয়েছে  বলে  জানায়  হাওরপাড়ের  গ্রামগুলোর  মৎস্যজীবীরা।  অন্তেহরী  গ্রামের  শিশির  দাশ  জানায়  হাওরের  মৎস্যজীবীরা  এখন  দিশেহারা ।  ধানের  সাথে  মাছ  নষ্ট  হওয়ার  কারনে  কৃষকরা  এখন  সর্বশান্ত । শেষ  পর্যন্ত  যা  পাবে  কৃষকরা  তা  দিয়ে  ঋণ  শোধ  করতে  পারবে  কি  না  কৃষকরা  সে  বিষয়ে  চিন্তিত  এখন  সরকারের  কাছে  আবেদন  সরকার  যেন  আমাদের  সহায়তা  করে  বলে  জানায়  শিশির  দাশ।