মৌলভীবাজারে ঝুকিপূর্ণ বাঁধ : সেনাবাহিনী উদ্ধার কাজে

    0
    211

    “মৌলভীবাজারের বন্যা ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে : ৩ লাখ মানুষ পানি বন্দী : শহর প্রতিরক্ষা বাঁধ ঝুকিপূর্ণ”

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৬জুন,বিক্রমজিত বর্ধন,নিজস্ব প্রতিনিধি:        মৌলভীবাজারের বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। মনু নদীর পানি বৃদ্ধি অভ্যাহত থাকলে যে কোন মুহুর্থে প্রতিরক্ষা বাঁধ (গাইড ওয়াল) উপচিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করতে পারে।

    গত কয়েকদিন থেকে ভারতের উত্তর ত্রিপুরা এলাকায় বৃষ্টিপাত অভ্যাহত থাকায় মনু, কুশিয়ারা ও ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মনু ও ধলাই নদীর এ পর্যন্ত ২২টি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার পানি প্রবেশ করে কুলাউড়া, কমলগঞ্জ, রাজনগর ও সদর উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত করেছে। তলিয়ে গেছে এ সব বাড়ি ঘর সহ রাস্তাঘাট। পানি বন্দী রয়েছে জেলায় প্রায় ৫ শত গ্রামের ৩ লাখ মানুষ।

    বন্যায় তলিয়ে যাওয়া এলাকায় আটকা পড়া মানুষ উদ্ধারে কুলাউড়া, কমলগঞ্জ ও রাজনগরে সেনাবাহিনী কাজ করছে। শহরের বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল নিরাপদ স্থানে অনেকেই সরিয়ে নিচ্ছেন। শহরের গুরুত্বপূর্ন এম সাইফুর রহমান সড়ক দিয়ে সকল প্রকার যাবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সরকারী ও বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানের মুল্যবান কাগজপত্র উঁচু স্থানে নিয়ে রাখা হচ্ছে।

    মনু নদী মৌলভীবাজার শহরের চাঁদনীঘাটের কাছে বিপদ সীমার ১৫৯ সেঃ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপর দিকে কুশিয়ারা নদী শেরপুরে কাছে ৪০ সেঃ মিঃ ও কমলগঞ্জে ধলাই নদী বিপদ সীমার ৫৯ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মনু নদীর শহর প্রতিরক্ষা বাঁধ ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় শহরবাসীকে শতর্ক থাকতে মাইকিং করা হচ্ছে।

    জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলাম জানান, জেলার ৩টি উপজেলায় সেনাবাহিনী কাজ করছে। মনু নদীর শহর প্রতিরক্ষা বাঁধের ঝুকিপূর্ণ স্থান গুলো শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি টিম পরিদর্শন করেছে। আজ দূপুরে দিকে মনু নদীর শহর প্রতিরক্ষা বাঁধ রক্ষায় সেনাবাহিনী নামবে।  এ পর্যন্ত ১৪৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও নগদ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বন্যা আক্রান্ত এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে।

    মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জানান, এ পর্যন্ত ২২টি স্থানে ভাঙ্গন দিয়েছে। ভারতের উত্তর ত্রিপুরায় প্রচুর বৃষ্টি পাত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অভ্যাহত থাকলে মনুনদীর শহর প্রতিরক্ষা বাঁধ উপচিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে শহর তলিয়ে যেতে পারে।