মৌলভীবাজারে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এর সভায়

    0
    236

    বন্যার্তদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ ও পুণর্বাসনের ব্যবস্থা এবং নদনদী খননের দাবি

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২১জুন: জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ মৌলভীবাজার শাখার বিশেষ সভায় জেলার ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ জনসাধারণের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ ও পুণর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের সাথে সাথে বন্যা সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে মনু, ধলাই, কুশিয়ারাসহ সকল নদনদী, খালবিল খনন করার দাবি জানানো হয়। ২০ জুন সন্ধ্যা ৭ টায় শহরের কোর্ট রোডস্থ কার্যালয়ে জেলা এনডিএফ’র সহ-সভাপতি মোঃ নুরুল মোহাইমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে বন্যায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত জেলায় ৮ জন মৃত্যুবরণ করায় তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন এনডিএফ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি মৌলভীবাজার জেলা কমিটির আহবায়ক অবনী শর্ম্মা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল, মৌলভীবাজার জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৪৫৩ এর সভাপতি মোঃ সোহেল মিয়া, মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৩০৫ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন মিয়া, এনডিএফ জেলা কমিটির সদস্য তারেশ বিশ্বাস সুমন, মোঃ গিয়াস উদ্দিন, মোঃ মাহমুদুর রহমান, মোঃ জসিমউদ্দিন প্রমূখ।

    সভায় বক্তারা বলেন বিগত বছরের কয়েকদফা বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগেই চলতি বছর পাহাড়ী ঢলে মনু, ধলাই, কুশিয়ারা নদীর একাধিক ভাঙ্গনের ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় জেলার অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সৃস্টি করেছে। তীব্র পানির স্্েরাতে জনসাধারণের ঘরবাড়ি, গবাদি পশু ভাসিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি রাজনগর ও কমলগঞ্জ উপজেলায় কৃষির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ জনসাধারণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ ও পুণর্বাসনের প্রয়োজন হলেও সরকারিভাবে যে ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য। আবার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ তুলনামূলক দুর্গম এলাকায় ত্রাণ বিতরণ না করার যেমন অভিযোগ রয়েছে তেমনি নির্বাচনী প্রচারণাকে সামনে রেখে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ত্রাণ বন্টন ও লুটপাটেরও অভিযোগ রয়েছে।

    নদনদী, খালবিল ভরাট, অপরিকল্পিতভাবে ব্রিজ, কার্লর্ভাট, বাঁধ নির্মাণ এবং নদী ও খাল অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কারণে প্রতি বছর বন্যার সৃস্টি হলেও সরকার এব্যাপারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় বন্যার এত ভয়াবয়তা ও ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। সভা থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ জনসাধারণের মধ্যে পর্যাপ্ত ত্রাণ সুষ্ঠুভাবে বন্টন, ত্রাণ বন্টনে সকল অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও লুটপাট বন্ধে যথাযথ তদারকির ব্যবস্থা, দ্রুততম সময়ে পুণর্বাসন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান, বিনা মূল্যে সার, বীজ, কীটনাশক ও সুদমুক্ত কৃষি ঋণ প্রদান, দূর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানীয় জল ও চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং বন্যা সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে মনু, ধলাই, কুশিয়ারাসহ সকল নদনদী, খালবিল খনন করার দাবি জানানো হয়।

    সভায় সাধ্য অনুযায়ী বন্যাদূর্গতদের পাশে দাড়ানোর জন্য সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও শুভানূধ্যায়ীদের প্রতি আহবান জানানো হয় এবং সাংগঠনিক উদ্যোগে রাজনগর ও কমলগঞ্জ উপজেলায় বন্যাদূর্গতের মধ্যে পানি বিশুদ্ধকরণ ঔষুধ বিতরণ ও মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।প্রেস বার্তা