মৌলভীবাজারে জঙ্গি আস্তানার মালিকের শ্যালক গ্রেফতার !

    0
    220

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৯মার্চ,হৃদয় দাশ শুভ,নিজস্ব প্রতিবেদক,মৌলভীবাজার থেকে: মৌলভীবাজারের পৌরসভার বড়হাট ও নাসিরপুর গ্রামে যে দুটি বাড়ি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে পুলিশ ঘিরে রেখেছে সেই দুই বাড়ির মালিক সাইফুর রহমানের শ্যালক মিজানুর রহমানকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুটি বাড়ি ঘেরাও করার সময়ই মিজানুরকে গ্রেফতার করা হয়। লন্ডনপ্রবাসী সাইফুর রহমানের বন্ধু তোফায়েল ইসলাম  এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।

    আরও দেখুনঃ আত্মসমর্পণ করতে বললে জঙ্গিরা গুলি ছুঁড়ে:মেয়র ফজলু

    তোফায়েল ইসলাম জানান, মিজানুর রহমান বড়হাটে সাইফুরের বাড়ির পাশে আরেকটি বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন। তিনিও সাইফুরের দুটি বাড়ি দেখাশোনা করেন। বুধবার ভোররাতে পুলিশ বড়হাট ও নাসিরপুরে দুটি বাড়ি ঘেরাও করার সময়ই মিজানুরকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
    তোফায়েল আরও বলেন, “বড়হাটের ওই বাড়িতে দুইটা ফ্লোরে তিনটা ফ্ল্যাট আছে। এই বাড়িতে যাদের জঙ্গি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে তারা শিয়া বা সালাফি সম্প্রদায়ের হতে পারে বলেও আমাদের ধারণা। কারণ তারা দিনে তিন রাকাতের মতো নামাজ পড়ে।”
    বড়হাটের এই বাড়িতে তিন-চার জনের মতো জঙ্গি রয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। মৌলভীবাজারের এএসপি রোকনুজ্জামান চৌধুরী এই তথ্য জানান।
    উল্লেখ্য জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাট এলাকায় একটি বাড়ি এবং খলিলপুর ইউনিয়নের সরকার বাজার এলাকার নাসিরপুর গ্রামের একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যরা। দুটি আস্তানাতেই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-বিস্ফোরক আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুটি বাড়ির মালিকই লন্ডনপ্রবাসী সাইফুর রহমান।
    মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, জঙ্গিদের প্রতিহত করতে এরই মধ্যে সব প্রয়োজনীয় কৌশল নেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
    সিটিটিসির এডিসি মো. সাইফুল ইসলাম  জানান, নাসিরপুর গ্রামের জঙ্গি আস্তানা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে তিনটি গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে। এই জঙ্গিরা নব্য জেএমবি’র সঙ্গে যুক্ত বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
    নাসিরপুর গ্রামের গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। জঙ্গি আস্তানার আশেপাশের এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে পুলিশ মাইকিং করছে। এরই মধ্যেই ওই বাড়ির এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে থাকা লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
    ঘটনাস্থল পরির্দশন করে সিলেটের ডিআইজি কামরুল আহসান বলেন,”অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।”