মৌলভীবাজারে ঘুষের টাকা গ্রহণকালে প্রকৌশলী গ্রেফতার

    0
    248

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া এলাকার অধীনস্থ এরফানুর রহমান (৫৫) নামের রেলওয়ের এক প্রকৌশলীকে এক কর্মচারীরকে ঘুষের টাকা গ্রহণকালে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার রাতে কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল তাকে ঘুষের টাকাসহ ধরে ফেলেন। এ ঘটনায় কুলাউড়া রেলওয়ে থানায় (জিআরপি) মামলা করেছে দুদক। পরে এরফানুরকে রেল পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

    এরফান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার নাওঘাট গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।

    জানা গেছে, এরফানুর রহমান ৫ বছর আগে রেলওয়ের কুলাউড়া সেকশনের ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী (পথ) হিসেবে যোগ দেন। কুলাউড়ায় যোগ দিয়েই শুরু করেন ঘুষ বাণিজ্য। তার অধিনস্ত সকল কর্মচারীর কাছ থেকে বিভিন্ন দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে জিম্মি করে ঘুষ আদায় করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তার অধিনস্ত  এক কর্মচারী রেলের ওয়েম্যান আবুল হোসেনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ (মাসোহারা) গ্রহণের সময় দুদক হবিগঞ্জ জেলা সম্মলিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মলয় সাহার নেতেৃত্বে ৫ সদস্যের একটি দল গোপনে অভিযান চালিয়ে তাকে হাতেনাতে আটক করে।

    দুদক হবিগঞ্জ জেলা সম্মলিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মলয় সাহা জানান, এরফান দীর্ঘ দিন থেকে তার অধিনস্ত কর্মচারীদের কাছ থেকে ঘুষ ও মাসিক মসোহারা আদায় করতেন বলে অভিযোগ ছিল। তাকে হাতেনাতে আটক করে কুলাউড়া রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    কুলাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি আব্দুল মালেক জানান, দুদক কর্মকর্তারা এরফানুর রহমানকে রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করেছেন। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হবে।

    অপরদিকে জেলার সচেতন নাগরিকদের জিজ্ঞাসা যারা মাসোহারা ১০ হাজার টাকা করে সিনিয়িওর বসদের  ঘুষ দিতে পারে তারাও যে ঘুষ খায় তা ঘুষ দেওয়া থেকেই প্রমাণিত,  এর জবাব খুঁজে বাহির করা দুদকের দায়িত্ব বলে অনেকেই মনে করেন।