সপ্তাহে চাহিদা ৭০লক্ষ লিঃ মিলছে ৩৫-৪০ লক্ষ লিঃ
আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৮এপ্রিল,বিক্রমজিত বর্ধনঃ মৌলভীবাজারের পদ্মা, মেঘনা, যমুনা তেল ডিপোতে ডিজেল সংকট চরমে। এতে বিপাকে পড়েছেন এই ডিপো থেকে ডিজেল গ্রহনকারী মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার কিছু অংশের পেট্রল পাম্প, চা বাগান মালিক ও কৃষকরা। তবে সরকারের কাছে পর্যাপ্ত ডিজেল মজুদ রয়েছে, মুল সংকট তেলবাহী ট্রেনের (রেক) কারণ বলে জানিয়েছেন তেল কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তেল কোম্পানীর ডিপোর সামনে তেলের জন্য লাইন ধরে আছেন বিভিন্ন পেট্রল পাম্প ও এজেন্টের গাড়ি গুলো। কেউ কেউ তেল না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল ন্যাশনাল ট্রেডিং এর মালিক জানান, এতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন মারাই মেশিন, পাওয়ার টিলার ব্যবহারকারী কৃষকসহ চা বাগান কর্তৃপক্ষ। তারা বিগত ৩ মাস ধরে চাহিদা মতো ডিজেল পাচ্ছেন না। এখন বৃষ্টি পড়েছে চাপ কম এর পরও ডিজেলের চরম সংকট।
জানা যায়, নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত ইরিগ্রেশন মৌসুম এই সময়ে সিলেট বিভাগে ডিজেলে চাহিদা অনেকগুন বেড়েযায়। আর বিগত ৩ মাস ধরেই এ জেলার ডিজেল প্রদানকারী প্রতিষ্টান পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ডিপোতে দেখা দিয়েছে ডিজেলের ঘাটতি। আরএর মুল কারণ চট্টগ্রামস্থ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন থেকে মৌলভীবাজারে পরিবহনের জন্য তেলবাহী ট্রেনের সংকট বলে জানান, শ্রীমঙ্গল পদ্মা ওয়েল কো: লিমিটেডের ডিপো ইনচার্জ মো: ইকবাল হোসেন।
আর শ্রীমঙ্গল যমুনা ওয়েল কো: লিমিটেডএর ডেপুটি ম্যানেজার, তৌহিদুল ইসলাম জানান, শ্রীমঙ্গলের এই তিনটি ডিপু থেকে মৌলভীবাজার হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মনবাড়িয়ার কিছু অংশের ডিজেলের চাহিদা পুরণ করা হয়। বর্তমানে রেলওয়ের তেলবাহী রেকের সংকটের কারণে তারা সপ্তাহে দুটি রেকের পরিবর্তে আসে একটি রেক। ফলে এ সংকট সৃষ্টি হয়। এর একমাত্র সমাধান সাপ্তাহে কমপক্ষে দুইবার রেলওয়ের তেলবাহীগাড়ি (রেক)আসতে হবে।
আগে যেখানে সপ্তাহে দুটি গাড়ি আসতো এখন আসে একটি। যা এ দুই জেলার মুল চাহিদা প্রায় ৭০ লক্ষ লিটারের। এ ব্যপারে মেঘনা ডিপুর ব্যবস্থাপক মো: সাহিদ হোসেন জানান, মাসে প্রায় ৭০ লক্ষ লিটার ডিজেলের প্রয়োজন। এর মধ্যে তারা পাচ্ছেন ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ লিটার। মাঝেমাঝে এ জাতীয় সংকট দেখা দিলে তারা সিলেট গ্যাস ফিল্ডের রসিদপুর ও কৈলাশ টিলা এবং ব্রাহ্মন বাড়ীয়ার তিতাস গ্যাসএর ব্রাহ্মন বাড়িয়া ডিপো থেকে সংগ্রহ করে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে এ সোর্স থেকেও তারা চাহিদামতো ডিজেল পাচ্ছেন না।
রেলওয়ের এর এই সংকট সমাধান করে চলমান বোরো ও সামনে আমন মৌসুমে ডিজেল সংকট হ্রাস করতে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দৃষ্টি আর্কশন করেছেন ডিজেল গ্রহীতারা।