মৌলভীবাজারে আনুষ্টানিক ভাবে শুরু হয়েছে “চা” পাতা চয়ন

    0
    214

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৩মার্চ,ষ্টাফ রিপোর্টারঃ আগাম বৃষ্টিপাত পাওয়ায় এবছর নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক মাস আগেই মৌলভীবাজারে শুরু হয়েছে চা পাতা উৎপাদন। সকালে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে মৌলভীবাজরে ৯৩ টি চা বাগানের বিভিন্ন চা বাগানে আনুষ্ঠানিক ভাবে এর যাত্রা হয়েছে ।

    শনিবার সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল এম আর খান, কমলগঞ্জের নন্দরাণী ও বড়লেখার কেরামত নগর চা বাগানে আনুষ্ঠানিক ভাবে চা পাতা চয়নের কাজ উদ্বোধন করেন  এ সব চা বাগানের মালিক বিশিষ্ট চা বিশেষজ্ঞ মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন তার বাগানের জিএম মো. জহির আহমদ চৌধুরীসহ প্রত্যেক বাগানের ব্যবস্থাপক ও সহকারী ব্যবস্থাপকরা।

    এ সময় নতুন পাতা তুলার আনন্দে প্রত্যেক শ্রমিকদের উত্তোলিত কাঁচা চায়ের কেজি প্রতি ১০ টাকা করে বোনাস ঘোষনা করেন বাগানের মালিক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি জানান গত বছরের উৎপাদন হয়ে ছিরো ৩.৫০ মিলিন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে । গত বছরের চেয়ে এই বছর  চা উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা দ্বিগুন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন । আগাম বৃষ্টির কারনে চা বাগানে চারা গাছে নতুন কুড়ির চা পাতা চয়নের কাজ শুরু হয়েছে ।

    শ্রীমঙ্গলে ক্লোনের চা বাগানের মালিক অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক জানান , আগাম বৃষ্টির জন্য এবছর তারা আগাম ত্রুপ পেয়েছেন । বুধবার সকাল হতে তারা আনুষ্ঠানিক ভাবে চা পাতা চয়নের কাজ উদ্বোধন করেন । তিনি মনে করেন গত বছরের ন্যায় আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে দেশে চা উৎপাদন বাড়বে ।

    উল্লেখ্য প্রাকৃতিক কারনে প্রতি বছরই ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৪ মাস চা পাতা চয়ন বন্ধ থাকে। প্রচুর ইরিগেশন ও প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের ফলে মার্চের শেষ দিকে অথবা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাতা তুলাকাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে চা শ্রমিকরা নতুন পাতা তুলতে । দেশে চায়ের বর্ধিত চাহিদা মোকাবেলায় চা  উৎপাদনের সংশ্লিষ্টদের সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য  এমনটাই চাওয়া দেশের চা পিপাসুদের ।