মৌলভীবাজারের এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রায় লংঘনের অভিযোগ

    0
    215

    আমারসিলেট24ডটকম,১৫নভেম্বর,ফারুক মিয়াঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রায় অমান্য করে মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি সহ বিভিন্ন প্রকার হয়রানী করেছে এক বিয়ে পাগল সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন।
    জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার কাগাবালা ইউনিয়নের মোঃ আব্দুস সামাদের পুত্র সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মতিন (৫০) বিভিন্ন ভাবে প্ররোচিত করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে একাধিক বিয়ে করে যাচ্ছেন।

     আব্দুল মতিন এক পর্যায়ে হবিগঞ্জ জেলা সদরের শ্যামলী আবাসিক এলাকা নিবাসী মৃত সামসুদ্দিন আহমেদের কন্যা মোছাঃ নাজমা আক্তারকে লন্ডনে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে  ৫,০০,০০০/= (পাঁচ লক্ষ) টাকা কাবিন মূলে বিবাহ করেন। গত ২০১০ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও স্বামী গৃহে থাকা হয়নি নাজমা আক্তারের।

    লন্ডন নিয়ে যাবার প্রলোভন দেখিয়ে কনের পিত্রালয়ে অবস্থান করে যৌতুক হিসাবে ৫,০০,০০০/= (পাঁচ লক্ষ) টাকা দাবী করে নাজমাকে নির্যাতন শুরু করে আব্দুল মতিন ও নগদ টাকার জন্য যৌতুকের ৫,০০,০০০/= (পাঁচ লক্ষ) টাকা দিলে স্ত্রীর মর্যাদা পাবে  নতুবা প্রাণ নাশের হুমকি দেয় আব্দুল মতিন।

    যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় আব্দুল মতিন সাবেক চেয়ারম্যান নাজমা আক্তারের উপর অকথ্য নির্যাতন চালায়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নাজমা আক্তার হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং- ১১১/১৪) এবং ভরণ পোষণের দাবীতে পারিবারিক আদালতে আরেকটি ৫,০০,০০০/= টাকার কাবিনের মামলা দায়ের করেন।

    আব্দুল মতিনের এলাকাসূত্রে জানা যায় সে  বিয়ে পাগল হিসাবে পরিচিত। নাজমা আক্তারকে ভবিষ্যতে লন্ডন নিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখিয়ে বিয়েতে রাজী করায়। যৌতুকের জন্য নাজমা আক্তারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকলে আব্দুল মতিনের বিভিন্ন অপকর্মের খবর প্রকাশ পেতে থাকে।

    আরো জানা যায়, নাজমা আক্তারকে স্বর্ণালংকার বাবদ দেড় লক্ষ টাকার একটি ব্যাংক চেক (সঞ্চয়ী হিসাব নং- ২২৭২, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, কাগাবালা শাখা, মৌলভীবাজার) প্রদান করেন।

    টাকা তুলতে গিয়ে জানা যায়, আব্দুল মতিন ভূয়া ব্যাংক চেক প্রদান করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন।

    ব্যাংক চেক এর ঘটনা ফাঁস হবার পর  আব্দুল মতিন কৌশলে পালিয়ে যায় এবং অদ্যাবধি পলাতক রয়েছেন।

    কাগাবালা ইউনিয়নবাসী জানান, এই মতিন মোবাইল ফোনে কথা বলে সহজ সরল মেয়েদের প্ররোচিত করে বিয়ে করেন এবং পরবর্তীতে পালিয়ে পালিয়ে থাকেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নারী স্ত্রীর মর্যাদা পাওয়ার জন্য আঃ মতিনের বাড়ীতে উপস্থিত হয়েছেন বলেও জানা যায়।

    এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।