মোবাইল ব্যাংকিংয়ে জালিয়াতি রোধে নির্দেশনা

    0
    246

    “নতুন নির্দেশনায় ক্যাশ-ইন তথা নিজের মোবাইল অ্যাকাউন্টে জমা এবং ক্যাশ আউট তথা উত্তোলনের দিকনির্দেশনাসহ বিভিন্ন বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে জারি করা নীতিমালার আলোকে গ্রাহকের পূর্ণ পরিচিতি (কেওয়াইসি) নিয়ে মোবাইল হিসাব খুলতে হবে”

    আমারসিলেটটোয়েন্টিফোর.কম ০৩ সেপ্টেম্বর  : মোবাইল ব্যাংকিংয়ে জালিয়াতি রোধে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নির্দেশনার আলোকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হলে অবশ্যই গ্রাহকের নিজের অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই এক এজেন্টের মোবাইল অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য এজেন্টের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো যাবে না। কোনো ব্যাংকের মোবাইল এজেন্ট এ নির্দেশনা অমান্য করে লেনদেন করলে তাৎক্ষণিক তার এজেন্সিশিপ বাতিল করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মোবাইল অ্যাকাউন্ট নেই এরকম ব্যক্তিও এজেন্ট কিংবা অন্য গ্রাহকের মোবাইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে মর্মে অভিযোগ রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ এবং নির্দেশনার পরিপন্থি।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা সঠিকভাবে পরিপালন না হওয়ায় মোবাইল হিসাব ব্যবহার করে জালিয়াতি ও প্রতারণা ঘটনাও ঘটছে। এমন প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মোবাইলে আর্থিক সেবার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে। নতুন নির্দেশনায় ক্যাশ-ইন তথা নিজের মোবাইল অ্যাকাউন্টে জমা এবং ক্যাশ আউট তথা উত্তোলনের দিকনির্দেশনাসহ বিভিন্ন বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে জারি করা নীতিমালার আলোকে গ্রাহকের পূর্ণ পরিচিতি (কেওয়াইসি) নিয়ে মোবাইল হিসাব খুলতে হবে। এক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্মে গ্রাহকের স্থায়ী, বর্তমান ঠিকানাসহ পূর্ণাঙ্গ পরিচিতি, পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি, মোবাইল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোন ধরনের লেনদেন করা হবে, গ্রাহকের পেশা ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকলে তা উল্লেখ করে মোবাইল হিসাব খুলতে হবে। একই সঙ্গে অ্যাকাউন্ট খোলার ফরমে একজন শনাক্তকারীর স্বাক্ষর থাকতে হবে। গ্রাহকের হিসাব খোলার আবেদন ও কেওয়াইসি ফরম ব্যাংক থেকে যাচাই না করা পর্যন্ত ওই অ্যাকাউন্টে শুধু অর্থ জমা ছাড়া আর কোনো লেনদেন করা যাবে না। তবে যাচাই করার বিষয়টি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, এক এজেন্টের মোবাইল হিসাব থেকে অন্য এজেন্টের অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করা যাবে না। আর গ্রাহকের মোবাইল অ্যাকাউন্ট থাকার বিষয়টি এজেন্টকে নিশ্চিত হয়ে প্রয়োজনীয় লেনদেন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যাংকের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট এজেন্টের এজেন্সিশিপ বাতিল করতে হবে। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকেরও নজরদারিতে থাকবে। এছাড়া এজেন্ট নিজের অ্যাকাউন্টে দৈনিক পাঁচ বারের বেশি নগদ অর্থ জমা দিতে পারবে না। একজন গ্রাহক তার মোবাইল হিসাবে দৈনিক সর্বোচ্চ ৫ বার ও মাসে ২০ বার অর্থ জমা দিতে পারবে এবং দিনে সর্বোচ্চ তিনবার ও মাসে ১০ বার উত্তোলন করতে পারবে। তবে কোনো অবস্থাতেই প্রতি ক্ষেত্রে জমা ও উত্তোলনের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা এবং মাসে দেড় লাখ টাকার বেশি হবে না। আর গ্রাহকের ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে অর্থ স্থানান্তরের পরিমাণ সর্বোচ্চ ১০ হাজার ও মাসে ২৫ হাজার টাকা এ স্থানান্তর সীমা শুধু ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।