মে মাসের মাঝামাঝি থেকে ভোটর তালিকা হালনাগাদ শুরু

    0
    249

    আমারসিলেট24ডটকম,০৯ফেব্রুয়ারীঃ  নির্বাচন কমিশন চলতি ২০১৪ সালের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে ভোটর তালিকা হালনাগাদ শুরু করতে যাচ্ছে। তিন ধাপে এ কার্যক্রম শেষ করার কথা রয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব কমিশন সভায় ওঠার পর তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তবে বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথম ধাপে উপকূল ও হাওর এলাকা, দ্বিতীয় ধাপে মফস্বল শহর এলাকা ও শেষ ধাপে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। এক্ষেত্রে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ, ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ নেয়া, তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের সময় নির্ধারণ করা এবং খসড়া তালিকা তৈরির পর চূড়ান্ত করা হবে।
    এদিকে নির্বাচন কমিশনার আবু মোবারক গত ২২ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পাঠানো এক অনানুষ্ঠানিক নোটে জানান, এবার ১৫ মে থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শেষ করা যেতে পারে। সে অনুযায়ীই ভোটার তালিকা হালনাগাদের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। তবে এমনিতেই সারাবছরই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রবাসীরাও দেশে এসে ভোটার হতে পারেন। তবে ভোটের সময়ে এ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। ১৯ ফেব্র“য়ারি থেকে ৩ মে পর্যন্ত ৬ ধাপে উপজেলা নির্বাচনের পর আবার ভোটার তালিকা হালনাগাদে নিয়মিত নিবন্ধন ও সংশোধনের কাজ শুরু হবে।
    অন্যদিকে প্রতি বছর জানুয়ারিতেই ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের ভোটার তালিকাভুক্ত করার বিধান রয়েছে। কিন্তু এবার উপজেলা নির্বাচন থাকায় সুবিধাজনক সময়ে এ কাজে হাত দিতে যাচ্ছে ইসি। ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের তত্ত্বাবধানে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হয়। ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর পেরিয়েছে এবং আগে বাদ পড়াদের অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি স্থানান্তর, সংশোধন ও মৃতদের বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে।
    এদেশে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোটার তালিকায় নাম ছিল ৮ কোটি ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৯৮ জনের। আর ২০১১-১৩ তিন বছরে হালনাগাদে প্রায় ৭০ লাখ ১০ হাজার ৫২১ জন নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়। বাদ পড়ে ৭ লাখ ৪১ হাজার ৬৯ জনের নাম। বর্তমান ভোটার তালিকা অনুযায়ী দেশে ভোটারের সংখ্যা ৯ কোটি ১৯ লাখেরও বেশি।
    ইসি কর্মকর্তাদের ধারণা- বছরওয়ারি হিসাবে প্রতিবারের মতো এবারও ২০ লাখের বেশি নতুন ভোটার তালিকাভুক্ত হতে পারেন। তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী এবার হালনাগাদের সময় একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত অপরাধী ও দালালদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে।