মেনন হত্যাচেষ্টার ২১তম বার্ষিকীতে আলোচনা সভায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ

    0
    251

    সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তির জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে
    ঢাকা, ১৭ আগস্ট : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি’র হত্যাচেষ্টার ২১তম বার্ষিকীতে ‘সন্ত্রাসবিরোধী দিবস’-এর আলোচনা সভায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তির জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেশে যে রাজনৈতিক সন্ত্রাস-হত্যাকাণ্ডের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল, বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে সরাসরি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সেই সন্ত্রাস জঙ্গিবাদে রূপ নেয়।

    আজ সময় এসেছে সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার। কোনো ক্ষমতার ভাগাভাগি বা সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে বিভক্ত থাকার সুযোগ নেই। কারণ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি বিভক্ত থাকলে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তথা সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদী চক্রই লাভবান হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চেতনা রক্ষা করতে হলে, বিচার না হওয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে কলঙ্ক মুক্তির পথে যাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে বিএনপি-জামাত যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গিবাদী-সন্ত্রাসী চক্রকে চূড়ান্তভাবেই পরাস্ত করতে হবে।

    আজ ১৭ আগস্ট রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের এই দিনে তোপখানা রোডে পার্টি কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসীরা কমরেড রাশেদ খান মেননকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। জনতার অকুণ্ঠ ভালবাসায় কমরেড মেনন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন। কিন্তু দীর্ঘ ২১ বছরেও মেনন হত্যাচেষ্টা মামলার বিচার হয়নি।
    ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে এবং পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শরিফ নুরুল আম্বিয়া, ঐক্য ন্যাপের প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম এ সবুর, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, গণআজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস কে শিকদার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড বিমল বিশ্বাস প্রমুখ।
    আলোচনা সভায় সন্ত্রাসবিরোধী দিবসের ঘোষণা পাঠ করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি।আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ কমরেড রাশেদ খান মেনন হত্যাচেষ্টা মামলার পুনঃতদন্ত ও বিচার দাবি করেন। একই সঙ্গে নেতৃবৃন্দ সকল রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত এবং রায় কার্যকর করার দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ আদালতের রায়ে যুদ্ধাপরাধের দায় প্রমাণিত এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হওয়া জামাত-শিবিরের রাজনীতি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।