মৃত্যুর ২৭ বছর পরেও আওলাদে রাসুলের এক ভক্তের লাশ ও কাফন অক্ষত

0
460
মৃত্যুর ২৭ বছর পরেও আওলাদে রাসুলের এক ভক্তের লাশ ও কাফন অক্ষত
মৃত্যুর ২৭ বছর পরেও আওলাদে রাসুলের এক ভক্তের লাশ ও কাফন অক্ষত

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শুনা যায় লোকে বলে “আল্লাহ যার হয়ে যায় দুনিয়া তার হয়ে যায়”।এমনি এক ঘটনা কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মাজিহাট খা পাড়া গ্রামে আবুল হোসেন বুড়োর বাড়িতে। তার ঘর করার জন্য মাটি খুঁড়তে গেলে মৃত্যুর ২৭ বছর পরেও আওলাদে রাসুলের এক ভক্ত তার বাবা মন্জুর মল্লিকের লাশ ও কাফন অক্ষত শনাক্ত করেছে পুলিশসহ এলাকাবাসী।এখনো তার কাফনের কাপরে কোন পচন ধরেনি।

২৭ বছর আগে মারা যাওয়া আশেকে রাসুল(দঃ)-মন্জুর মল্লিকের অক্ষত লাশ নিয়ে ইতোমধ্যেই এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অক্ষত অবস্থায় ২৭ বছরের পুরানো লাশ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ওই এলাকায় ভিড় করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৭ বছর আগে অসুস্থতার কারণে মৃত্যুবরণ করেন মনজুর মল্লিক। তিনি আওলাদে রাসুল (দঃ) হযরত আবেদ শাহ আল মাদানীর মুরিদ ছিলেন তাছাড়া তিনি ওই আওলাদে রাসুলের খেদমত করতেন। মৃত্যুর পর তাকে স্থানীয় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মৃত্যুকালে মন্জুর মল্লিকের বয়স ছিল (৭০), পেশায় তিনি ছিলেন একজন কৃষক। ওই ব্যক্তি ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন বলেও জানান এলাকার বৃদ্ধরা।

স্বজনরা জানান, কবরস্থানের পাশে ঘর নির্মাণের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করা হলে শুক্রবার সকালে খোঁড়াখুঁড়ির সময় মনজুর মল্লিকের অক্ষত লাশ দেখতে পান শ্রমিকরা। মৃত মনজুর মল্লিকের ছেলে ছালামত লাশটি তার বাবার শনাক্ত করে জানান, প্রায় ২৭ বছর আগে তার বাবার স্বাভাবিক মৃত্যু হলে ওই স্থানে দাফন করা হয়। তবে লাশের শরীরে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এমনকি কাফনের কাপড়েরও কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।

তিনি আরো জানান, তার বাবা ইসলামিক বিধিবিধান খুব ভালোভাবে মেনে চলতেন।

এলাকাবাসী আরো জানায়, মৃত মনজুর মল্লিক ওই এলাকার মধ্যে একজন ধার্মিক লোক ছিলেন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে লাশটি সরিয়ে অন্য স্থানে দাফন করা হয়েছে।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত ব্যক্তির ছেলে নতুন ঘড় নির্মাণের জন্য মাটি কাটলে তার বাবার দাফন করা ২৭ বছর আগের লাশের কাফনসহ পাই। পরবর্তীতে সেই লাশ পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অন্য স্থানে পুনরায় দাফন করা হয়েছে।