“মৃত্তিকায় মহাকাল”র আয়োজনে “দ্রোহের মন্ত্রে ভালবাসা”

    0
    184

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২২ফেব্রুয়ারীঃ আবহমান বাংলার ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে বুকে ধারণ করে গণসাংস্কৃতিক সংগঠন “মৃত্তিকায় মহাকাল” পূর্ণ করেছে তাদের ৬ষ্ঠ বর্ষ।
    গত ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার নানা বর্ণীল সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে নগরের রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল মুক্ত মে  আয়োজন করা হয় “দ্রোহের মন্ত্রে ভালবাসা” শিরোনামের যূগার্ধ পূর্তির বর্ণ্যাঢ্য অনুষ্ঠানের।
    বিকেল ৪টায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শহিদুল ইসলাম চেীধুরী, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার ফয়সাল মাহমুদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটর প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত চন্দন, সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব বিধূ ভূষণ ভট্টাচার্য্য।
    মৃত্তিকায় মহাকালের মূখ্য নির্বাহী সৈয়দ সাইমূম আনজুম ইভানের সভাপতিত্বে ও নীতিনির্ধারণী পরিষদের সদস্য ডা. ফাহিমা ইয়াসমিনের উপস্থাপনায় আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সহ সভাপতি শামসুল আলম সেলিম।
    আলোচনা পর্বে বক্তারা বলেন মৃত্তিকায় মহাকাল এমন একটি সংগঠন যারা বিগত ৬টি বছর ধরে একই ভাবে বাংলা সংস্কৃতির অনির্বাণ পূষ্প বুকে ধারণ করে নিরলশ শিল্প সৃষ্টি করে যাচ্ছে। তারা বলেন একটি সংগঠনের একই ধারাবহিকতায় ৬ বছর ধরে কাজ করে যাওয়া অনেক আশাব্যঞ্জক। তারা মৃত্তিকায় মহাকালের উত্তর উত্তর সমৃদ্ধি ও সফলতা কামনা করে বলেন তারুণ্যের এ অনিরূদ্ধ শক্তিই এ সংগঠনটিকে মৃত্তিকা থেকে মহাকালের পথে এগিয়ে নেবে। তারা সকল পরিস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালীয়ানাকে বুকে ধারন সকল সংস্কৃতিকর্মীকে সৃষ্ঠির পথে চলার আহবান জানান।
    যূগার্ধ পূর্তি অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে ছিলো বণীল সাংস্কৃতিক আয়োজন। মৃত্তিকায় মহাকালের সাধারণ সম্পাদক শর্মিলা দাশ সিমির উপস্থাপনায় এতে অংশগ্রহন করে গীতবিতান বাংলাদেশ, শিকড় শাবিপ্রবি, দ্বৈতস্বর সিলেট, ছন্দনৃত্যালয়, মৃত্তিকায় মহাকাল- শুদ্ধস্বর, শ্রুতি সিলেট, নগরনাট সিলেট, অন্বেষা সিলেট, কথাকলি সিলেট ও মৃত্তিকায় মহাকাল। অনুষ্ঠানে একক পরিবেশনায় অংশ নেন অংশুমান দত্ত অঞ্জন, গৌতম চক্রবর্তী, নন্দীতা দত্ত ও সাদিয়া ইসলাম।
    পূরো আয়োজন সমন্বয় করেন শেখ মনিরুজ্জামান, মো. জয়নাল আবেদিন, রুবেল আহমেদ, শাহিদ খান ফরহাদ, দিপা কর্মকার, রবিউল ইসলাম, সোহান রানা, শাহীনুর আহমেদ রাসেল, তাহরীম বখত নাদিব, মারুফা আক্তার মাধবী, চৈতী রানী দেবনাথ, মাহমুদুল ইসলাম তারেক প্রমূখ।