মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষার দাবীতে জৈন্তাপুরে

    0
    213

    শহিদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৭নভেম্বর,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর অমানবিক নির্যাতন ও গণহত্যার প্রতিবাদে গতকাল ২৭ নভেম্বর রোজ রবিবার বিকাল ৩ঘটিকার সময় জৈন্তাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্বে জৈন্তাপুর উপজেলা জমিয়তে উলামা বাংলাদেশ উদ্যোগে ও তৌহিদী জনতার সমর্থনে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়।

    জমিয়তে উলামা বাংলাদেশ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি হযরত মুফতি মাওলানা ইউছুফ এর সভাপতিতে ও মাওলানা বশির আহমদ ও মাওলানা দেলোয়ার হোসেন এর যৌথ পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুবসির সাহেব, মাওলানা আব্দুল জব্বার, মাওলানা আব্দুস ছালাম, মাওলানা নুর উদ্দিন, মাওলানা আবু বক্কর, মাওলানা ইয়াহিয়া শহিদ, মাওলানা আতিকুর রহমান, মাওলানা ফয়জুল হক, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা আব্দুল হামিদ, মাওলানা উসমান গনি, মাওলানা ময়নুদ্দিন, মাওলানা জাকারিয়া মাসহুদ, মাওলানা মুস্তাক আহমদ, মাওলানা ফারুক আহমদ, মাওলানা আব্দুস ছালাম, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মৌলভী নজরুল ইসলাম, জৈন্তাপুর উপজেলা তাবলীগ জামাতের আমির বদর উদ্দিন পারভেজ, সমাবেশে তারানা পাঠ করেন মাদ্রাসা ছাত্র সুলেমান আহমদ প্রমুখ।

    মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর নির্যাতন ও গণহত্যাকে স্মারণকালের শেষ্ট অমানবিক হত্যা ও নির্যাতন আখ্যা দিয়ে বক্তারা তাদের বক্তবে বলেন- রোহিঙ্গা মুসলিমদের পার্শ্বে দাঁড়ানো বিশ্বের প্রতিটি মুসলমানের এখন ঈমানি দায়িত্ব। সেই সাথে বাংলাদেশ সরকারের উচিত সীমান্তের দরজা খুলে দিয়ে অসহায় মিয়ানমারের মুসলিমদের আশ্রয় দেওয়া। মুসলমানদের রক্ষায় জাতী সংঘ ওআইসি কে বাধ্য করা সহ অভিলম্বে মিয়ানমারে জাতী সংঘের শান্তি রক্ষি বাহিনী মোতায়েন করে রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষার জোর দাবী জানান। সভায় আরও বলা হয় এখন পশ্চিমা সহ বিশ্বের মানবতাবাদিরা আজ নিরবতা পালন করছেন কেন? আজকি মানবতা লঙ্গন হচ্ছে না। তারা এই নিরবতা পালনের জন্য তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সহ বিভিন্ন বাহিনী মিয়ানমারের জন সাধারন বাড়ীঘর গান পাউডার ছিটিয়ে অগ্নি সংযোগ করে হাজার হাজার মুসলিমকে পুড়িয়ে মারছে সে দেশের নেতা অং সাং সুচি শান্তিতে পাওয়া নোবেল পুরস্কারে রাখার অযোগ্য বলে বিশ্ব দরবারে আজ চিহ্নিত হয়েছেন বলে দাবী তোলেন এবং মিয়ানমারে চরম মানবতা লঙ্গিত হচ্ছে।

    তাই অভিলম্বের শান্তির জন্য পাওয়া মিয়ানমারের নেত্রী অং সাং সুচির নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহার করার আহবান জানান নোবেল কমিটির কাছে। সেই সাথে বাংলাদেশ সরকারে  কাছে দাবী জানান অভিলম্বে সীমান্তের দরজা খুলে দিয়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদানের। ইমানি দায়িত্ববোধ হতে রোহিঙ্গা মুসলমাদের জন্য বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে থাকা খাওয়া ব্যবস্থা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন।

    পরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ব হতে এযাবত কালের সর্ব বৃহত বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জৈন্তাপুর বাজার মসজিদ প্রঙ্গনে গিয়ে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিল সমাপ্ত হয়।