রোহিঙ্গাদের পাকা ধান কেটে নিবে দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান

    0
    404

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫নভেম্বর,ডেস্ক নিউজঃ গত ২৫ আগষ্ট থেকে মিয়ানমারে রাখাইন অঞ্চলে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ, নির্বিচারে গণধর্ষণ ও বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগের পর তাদের ক্ষেতের পাকা ধান কেটে নিতে দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিচ্ছে মিয়ানমার সরকার। এসব ধান ক্ষেতে বিনষ্ট হলে পুনরায় সেখানে চাষাবাদে সমস্যা তৈরি হবে বলে এধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে দেশটির সরকার। মিয়ানমার টাইমস

    রাখাইনের মুখ্যমন্ত্রী উ নিপু বলেছেন, মংগদুতে রোহিঙ্গাদের ৭০ হাজার একর জমিতে পাকা ধান পড়ে আছে। উৎপাদিত ধানের পরিমাণ হবে কুড়ি লাখ ঝুড়ি। এক ঝুড়ি ধানের মূল্য ২.৬৫ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে মংগদুতেই প্রায় ৫০ কোটি টাকার ধান ক্ষেতে পড়ে আছে। এসব ধান কেটে নেওয়ার যন্ত্রপাতি মিয়ানমার সরকারের কাছে নেই। তাই বেসরকারি দুটি প্রতিষ্টানকে এ কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    এদিকে মিয়ানমার টাইমসকে দেশটির পরিকল্পনা ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী উ খিও আয়ে থিন বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের পাকা ধান বিক্রি করে নগদ জমা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মংগদু ছাড়াও বুচিডং, রাচিডং এলাকার ধানও কেটে ফেলা হবে। কারণ আগামী ফসল বোনার মৌসুম এসে পড়ছে। ক্ষেতের পাকা ধান কেটে না নিলে এসব জমিতে আর পুনরায় চাষাবাস করা যাবে না। ধানও বিনষ্ট হবে।

    এই মন্ত্রী আরো জানান, রোহিঙ্গাদের জমিতে পুনরায় চাষাবাস সরকারের খরচেই হবে। ভবিষ্যতে ধান কাটার মেশিন সংগ্রহ করতে মিয়ানমার রাইস ফেডারেশনকে বলেছে। তবে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী উ অং মিন্ট থেইন বলেন, ভবিষ্যতে যদি রোহিঙ্গাদের এসব জমি ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে ধান বিক্রির টাকাও তাদের ফেরত দেয়া উচিত। গত ১৩ নভেম্বর ইউনিয়ন এন্টারপ্রাইজ ফর হিউম্যানিটারিয়ান, রিসেটেলমেন্ট এন্ড ডেভলভমেন্ট ইন রাখাইন এক বিবৃতিতে জানায়, এসব জমির ধান বা ধান বিক্রির অর্থ মালিকদেরকেই ফেরত দেয়া হবে। এটা সম্ভব হবে জমির কাগজপত্র ও রেকর্ড যাচাই করে।