মিয়ানমারে বর্বরতা:৪শিশুসহ ১৫রোহিঙ্গা নিহত,নিখোঁজ-৩০

    0
    182

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৬ডিসেম্বরঃ  মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু থেকে নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে পালানোর সময় রোহিঙ্গা মুসলমানদের বহনকারী তিনটি নৌকায় গুলি চালিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী পুলিশ। রোববার দিনগত রাতের ওই ঘটনায় গুলিতে এবং নদীতে ডুবে চার শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে এবং অন্তত ৩০ রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছে।

    মালয়েশিয়াভিত্তিক রোহিঙ্গা ভিশন টিভি এ খবর দিয়েছে। তবে নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে ওই খবরের সত্যতা যাচাই করা যায়নি। কারণ রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশে সাংবাদিকদের প্রবেশের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

    রোহিঙ্গা ভিশন টিভির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, গত সোমবার মিয়ানমার সময় সকাল ৭টার দিকে নাফ নদীর তীরে দুটি শিশু এবং একজন নারীর মরদেহ পড়েছিল। এরমধ্যে একটি শিশু মাটিতে এমনভাবে পড়েছিল যার সঙ্গে গত বছরের ২ সেপ্টম্বরের সিরিয়ার শরণার্থী শিশু আইলান কুর্দির মরদেহের সাদৃশ্য পাওয়া গেছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, শিশুটির নিথর কাদামাখা দেহ পড়ে রয়েছে মাটিতে। কর্দমাক্ত দেহ হাত চেপে রয়েছে।

    রোহিঙ্গা ভিশন টিভির মাধ্যমে ওই ছবিসহ আরও কিছু মর্মান্তিক ছবি প্রচার হয়েছে, যা এরইমধ্যে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাল হয়ে গেছে।

    মিয়ানমার পুলিশের এই বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মংডুর এক বৃদ্ধ বলেন, “এই শিশুর অপরাধ কী ছিল? এই নিষ্পাপ বেসামরিক লোকদের কী অপরাধ যে তাদেরকে এভাবে হত্যা করতে হবে? নিষ্পাপ এই শিশুর নিথর দেহের ছবি যে কারো হৃদয়ে নাড়া দেবে।”

    রোহিঙ্গা ভিশন টিভির তথ্যানুযায়ী, পুলিশের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগই মংডুর রাইম্মাবিল গ্রামের বাসিন্দা।

    গত ৯ অক্টোবর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় এ পর্যন্ত তিন শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে। তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হিসাব অনুয়ায়ী নিহত রোহিঙ্গার সংখ্যা ৮৯ জন। সম্প্রতি জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার জন ম্যাককিসিক বলেছেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে জাতিগত সংখ্যালঘু নিধনে নেমেছে।পার্সটুডে