মিরাজ ও সাকিবের ঘূর্ণি ঝরে ঐতিহাসিক জয় বাংলাদেশের

    0
    190

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,৩১অক্টোবর,ক্রীড়া প্রতিবেদকঃ মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণি ঝরে একদিন হাতে রেখেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড়ো জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। উভয়ে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন সবগুলো উইকেট। তার মধ্যে মিরাজ নিয়েছেন ৬ উইকেট আর সাকিব নিয়েছেন ৪ উইকেট।

    ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের দেয়া ২৭৩ রানের লক্ষ্যে তৃতীয় দিনে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড।

    ২৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইংল্যান্ডকে ভালো সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার অ্যালিস্টার কুক ও বেন ডাকেট। ডাকেট তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে চার মেরে তিনি ফিফটি স্পর্শ করেন ৬১ বলে। পরের বলে মারেন আরেকটি চার, তাতে শতরান পূর্ণ হয় ইংল্যান্ডের। সফরকারীরা চা বিরতিতে যায় ২৩ ওভারে বিনা উইকেটে ১০০ রানে।

    তবে চা বিরতি থেকে ফিরেই ইংলিশ শিবিরে জোড়া আঘাত হানে বাংলাদেশ। বিরতির পর প্রথম বলেই বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মিরাজ। তরুণ অফস্পিনারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ফিফটি করা বেন ডাকেট (৬৪ বলে ৫৬)। পরের ওভারে সাকিব আল হাসানও প্রথম বলেই ফিরিয়ে দেন প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা জো রুটকে। ১ রান করা রুট হয়েছেন এলবিডব্লিউ।

    মিরাজের পরের ওভারে ফিরতে পারতেন কুকও। সুইপ করতে গিয়ে বল আঘাত হেনেছিল তার প্যাডে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জোরালো আবেদনে আম্পারার কুমার ধর্মসেনা আঙুলও তুলেছিলেন। ইংলিশ অধিনায়ক নেন রিভিউ। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল স্টাম্প মিস করেছে! বেঁচে যান কুক। তার রান তখন ৪৪।

    অবশ্য খানিক বাদেই জোড়া আঘাত হানেন মিরাজ। একই ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন গ্যারি ব্যালান্স ও মঈন আলীকে। মিরাজের দ্বিতীয় বলে শট খেলতে গিয়ে মিডঅফে তামিম ইকবালের ক্যাচে

    পরিণত হন ব্যালান্স (১৪ বলে ৫)। শেষ বলে এলবিডব্লিউ মঈন। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি, ডাক।

    নিজের পরের ওভারে কুককেও ফিরিয়ে দেন মিরাজ। এবার ক্যাচ। সিলি পয়েন্টে দারুণ ক্যাচ নেন মুমিনুল হক। ইংলিশ অধিনায়ক করেন ৫৯ রান। বিনা উইকেটে ১০০ থেকে ইংল্যান্ডের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ১২৭!

    এক ওভার পর এসে জনি বেয়ারস্টোকেও ফিরিয়ে দেন মিরাজ। তাতে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টে তৃতীয়বার ইনিংসে পাঁচ উইকেটের স্বাদ পেয়ে যান এই অফস্পিনার। স্লিপে শুভাগত হোমকে ক্যাচ দেন বেয়ারস্টো (৮ বলে ৩)। ইংল্যান্ডের স্কোর তখন ৬ উইকেটে ১৩৯।

    এর আগে বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ২৯৬ রানে। ফলে ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৩ রানের। এশিয়ায় এত রান তাড়া করে কখনোই জেতেনি ইংল্যান্ড। সর্বোচ্চ ২০৯ রান তাড়া করে জিতেছিল ২০১০ সালে এই মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০৮ রান তাড়া করে জিতেছিল ১৯৬১ সালে লাহোরে পাকিস্তানের সঙ্গে।

    দুই শর বেশি রান তাড়া করে আর একবারই জিতেছে ইংলিশরা, ১৯৭২ সালে দিল্লিতে ভারতের বিপক্ষে জিতেছিল ২০৭ রান তাড়া করে। ঢাকা টেস্টে জিততে হলে তাই রেকর্ড গড়তে হবে ইংলিশদের।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ৬৩.৫ ওভারে ২২০ (তামিম ১০৪, মুমিনুল ৬৬,  মাহমুদউল্লাহ ১৩, সাকিব ১০; মঈন ৫/৫৭, ওকস ৩/৩০, স্টোকস ২/১৩)।

    ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস : ৮১.৩ ওভারে ২৪৪ (রুট ৫৬, ওকস ৪৬, রশিদ ৪৪*; মিরাজ ৬/৮২, তাইজুল ৩/৬৫, সাকিব ১/৪১)।বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ৬৬.৫ ওভারে ২৯৬ (ইমরুল ৭৮, মাহমুদউল্লাহ ৪৭, সাকিব ৪১, তামিম ৪০, শুভাগত ২৫*; রশিদ ৪/৫২, স্টোকস ৩/৫২, আনসারি ২/৭৬, মঈন ১/৬০)।