আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৫মার্চ,জহিরুল ইসলাম ঢাকা থেকেঃ রাজধানির মিরপুরে এশিয়া কাপ ফাইনালের বাংলাদেশ-ভারত খেলার টিকেট প্রত্যাশীদের টিকেট না পেয়ে ইউসিবি ব্যাংকে ভাংচুর করে। ভাংচুর দমনে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের কয়েকটি শেল ছোড়ে।
আজ শনিবার মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবিএল) সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এশিয়া কাপে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অনুষ্ঠেয় ফাইনাল খেলার টিকিট-প্রত্যাশীরা গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে ব্যাংকের সামনে দাঁড়ান। আজ সকাল ১০টা থেকে ওই ব্যাংকেই টিকিট বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু কয়েক হাজার টিকিট-প্রত্যাশীর বিপরীতে টিকিট খুব সামান্য থাকায় চারদিকে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের কয়েকটি শেল ছোড়ে। এতে টিকিট-প্রত্যাশীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এ সময় আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ২৫ হাজারের মতো। এবারের এশিয়া কাপজুড়েই টিকিটের জন্য হাহাকার চলছে। বাংলাদেশ দলের ম্যাচে গ্যালারিতে থাকছে উপচে পড়া দর্শক। বাংলাদেশ-ভারত ফাইনালে তিকেতের চাহিদা আরও বাড়বে এতাই স্বাভাবিক। ফলে টিকিট না পাওয়ার হাহাকারও ও হতাশা থেকে ক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছে”
এশিয়া কাপের টিকিট বিক্রির দায়িত্বে আছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক। অনেক দর্শকের অভিযোগ, আগের ম্যাচগুলোতে ব্যাংকে গিয়ে টিকিট পাওয়া যায়নি। কেউ বলছেন বিসিবি ইচ্ছে করে কম টিকিট দিচ্ছে, কারও অভিযোগ ব্যাংকের লোকজনই সাধারণ দর্শকদের কাছে কম টিকিট বিক্রি করে বেশিটা নিজেরা রেখে দিচ্ছেন।
ইউক্যাশের মাধ্যমে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পাঁচটি শাখা থেকে টিকিট সংগ্রহের সুযোগ থাকলেও দর্শক সশরীরে টিকিট কিনতে পারছেন শুধু মিরপুর ১১ নম্বর শাখা থেকে। কিন্তু দুঃসংবাদ হলো, ইউক্যাশ ও সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে বিক্রি হবে গ্যালারির ধারণক্ষমতার ৩০ শতাংশেরও কম টিকিট। তার মানে অধিকাংশ মানুষকেই ফিরতে হবে হতাশ হয়ে।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের হেড অব করপোরেট জাভেদ ইকবাল গণমাধ্যমকে হলেছেন, ‘বিসিবির কাছ থেকে বিক্রির জন্য আমরা যে পরিমাণ টিকিট পেয়েছি, তা চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। সবার টিকিট পাওয়ার নিশ্চয়তা তাই দেয়া যাচ্ছে না।’ ব্যাংক কর্মকর্তাদের নিজেদের টিকিট রেখে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, ‘অভিযোগটি একেবারেই ঠিক নয়
। আমাদের ওপর ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কড়া নির্দেশ আছে আমরা যেন নিজেদের জন্য কোনো টিকিট না রাখি। আমরা শতভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করছি।’