মিনায় ৫ বাংলাদেশি নিহতঃবিদ্যুৎ লাইনে আগুন কি এর কারন ?

    0
    286

     “প্রত্যক্ষদর্শী একটি  সূত্রে  জানা যায়,বিদ্যুৎ লাইনে আগুন লাগার পরে ভয়ে  দৌড়ে বাঁচতে গিয়ে এ ঘটনার সুত্রপাত ঘটে” 

    “পবিত্র মক্কার মিনায় ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়ে গেছে এবং আহত হয়েছেন ১৫০০ জনেরও বেশি। সৌদি বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের বরাত দিয়ে ইরানের আল আলম টেলিভিশনের ওয়েব সাইট এই খবর দিয়েছে। সৌদি সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা অনুযায়ী মিনার বিপর্যয়ে ৭১৭ জন নিহত এবং আহত হয়েছে আরও বেশি”

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৫সেপ্টেম্বরঃ সৌদি আরবের মিনায় পদপিষ্ট হয়ে পাঁচ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- জামালপুরের ফিরোজা খানম, সুনামগঞ্জের জুলিয়া হুদা, ফেনীর তাহেরা বেগম ও তার ভাই নুরুন্নবী মিন্টু এবং মুন্সিগঞ্জের জাহানারা আরজু। তবে, সৌদি আরবের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও ঘোষণা হয়নি।

    জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রা মোল্লাবাড়ি এলাকার খন্দকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী ফিরোজা খানম হাটচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শেষে অবসরে ছিলেন বলে তার ছোট ছেলে খন্দকার ফরিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, “আমার মা ও বড় ভাই খন্দকার মোজাহারুল ইসলাম শামীম হজে গিয়েছিলেন। আজ বিকালে ভাই ফোন করে মায়ের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন।”

    ফিরোজ, শফিউল আজম, ইকবাল বাহার চৌধুরী ও সাইফুল ইসলাম নামে তাদের কয়েকজন আত্মীয়ও আহত হয়েছেন বলে জানান খন্দকার ফরিদুল।

    এদিকে, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদা মুকুটের ছোট ভাই বদরুল হুদা মুকুলের স্ত্রী জুলিয়া হুদার (৪৩)  মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার দেবর, সুনামগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি খায়রুল হুদা স্বপন।

    সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তার ভাই মুকুল হুদা ও ভাবি ফিরোজা হুদা একসঙ্গে হজে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যার দিকে মুকুল পরিবারের সদস্যদের ফোন করে তার স্ত্রীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। এছাড়া, জুলিয়ার বড় বোন আফিয়া চৌধুরী আহত হয়ে সৌদি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান খায়রুল হুদা।

    মিনায় পদদলিত হয়ে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের কলিম উদ্দিন মুন্সি বাড়ির নুরন্নবী মিন্টু (৬৯) ও একই উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের শুলাখালি গ্রামের তাহেরা বেগম (৭৩) নিহত হয়েছেন। এছাড়া সোনাগাজী পৌরসভার চরগনেশ গ্রামের মৃত শেখ এজহারুল হকের স্ত্রী বিবি ফাতেমা (৬৫) নিখোঁজ রয়েছেন।ইরনা

    হতাহতের তালিকায় বাংলাদেশি থাকার কথা জানালেও সংখ্যা জানাতে পারেননি জেদ্দায় বাংলাদেশের হজ অফিসার মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে না বললে, আমি নিহতদের ব্যাপারে কিছুই বলতে পারব না।

    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে আমাদের লোক পাঠিয়েছি এবং সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা নিহতদের জাতীয়তাসহ পরিচয় প্রকাশ করার পর আমরা নিশ্চিত হয়ে বলতে পারবো।
    এ ঘটনায় ১৫ বাংলাদেশি আহতের খবরটি নিশ্চিত করেছে মক্কা বাংলাদেশ হজ মিশন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    অন্যদিকে, সৌদিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বৃহস্পতিবার রাতে জানান,  এখনও পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে আহতদের মধ্যে ৮ বাংলাদেশি হাজিকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে এক হাজির অবস্থা গুরুতর। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’

    আহত বাকি বাংলাদেশি হাজিদের মিনার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

    এদিকে, জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মোকাররমসহ দেশের প্রতিটি ঈদগাহ জাময়াতে  মিনায় নিহত  শহীদ হাজীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ  দোয়া করা হয়।

    জাতীয় ঈদগাহের জামাত শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মিজানুর রহমান নিহত হাজিদের বেহেশত কামনা করে বলেন, ‘মিনায় যেসব হাজি নিহত হয়েছেন, তারা নিশ্চয় শহীদের মর্যাদা লাভ করেছেন। আল্লাহ তাদের যেন শহীদী সম্মানে বেহেশত নসীব করেন। এছাড়া যারা আহত হয়েছেন সেসব হাজিসহ সব হাজিকে আল্লাহ সুষ্ঠুভাবে হজ পালনের তাওফিক দান করুন।’

    উল্লেখ্য সৌদি আরবে হাজিদের পদদলিত হওয়ার প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাটির জন্য দেশটির কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন।বৃহস্পতিবারের মর্মান্তিক এই ঘটনায় অন্তত ৭১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৮৬৩ জন আহত হয়েছেন।এই ঘটনার কারণে বাদশাহ সালমান হজ সংঘটন সংস্থার বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
    কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত শুরু করেছে।এক মন্ত্রী এই দুর্ঘটনার জন্য হাজিদের দায়ী করেছেন। তবে হাজিরা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী লিবিয়ার নাগরিক আহমেদ আবু বকর (৪৫) বলেন, “সেখানে অত্যন্ত ভিড় ছিল। পুলিশ একটি ছাড়া হজ ক্যাম্পের সবগুলো প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়।

    অপরদিকে“প্রত্যক্ষদর্শী একটি  সূত্রে  জানা যায়,বিদ্যুৎ লাইনে আগুন লাগার পরে ভয়ে  দৌড়ে বাঁচতে গিয়ে এ ঘটনার সুত্রপাত ঘটে”