মিঠামইন হামিদ পল্লীর ইত্যাদি পূণঃপ্রচার ৪ অক্টোবর

    0
    507
    বিনোদন ডেস্ক :বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, পর্যটন ও প্রত্নতাত্ত্বিক জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে গিয়ে ইত্যাদি ধারণের ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের নান্দনিক দৃশ্যাবলীতে সাজানো কিশোরগঞ্জের হাওড়ের মাঝখানে দ্বীপের মত ভেসে থাকা মিঠামইনের হামিদ পল্লীতে।
    প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কিশোরগঞ্জের অসাধারণ নৈসর্গিক দৃশ্যের সাথে সংগতি রেখে সাজানো মঞ্চে ধারণ করা হয় এবারের ইত্যাদি। ইত্যাদির ধারণ উপলক্ষে ভাটির দেশ কিশোরগঞ্জে ছিল উৎসবের আমেজ। সকাল থেকেই কিশোরগঞ্জ শহর, করিমগঞ্জ, ইটনা, অষ্টগ্রাম, ভৈরব, নিকলী, কটিয়াদী, হোসেনপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত নৌকা-ট্রলারে করে হাজার হাজার মানুষ আসতে থাকেন হামিদ পল্লীতে। হাওড়ের মাঝখানে ছোট্ট এই পল্লীটির চারিদিকে হাজার হাজার নৌকা-ট্রলারের সারি এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি করেছিল।
    অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় দুপুর ২টা থেকেই আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে থাকেন। বিকেলের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় অনুষ্ঠানস্থল। আমন্ত্রিত দর্শক ছাড়াও হাজার হাজার মানুষ হাওড়ের পাড়ে দাঁড়িয়ে, নৌকা ও ট্রলারের ছাদে বসে ইত্যাদির ধারণ উপভোগ করেন। হাওড়ের মাঝখানে এ যেন জনসমুদ্র। এত দুর্গম অঞ্চলে অনুষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও অনুষ্ঠানস্থলে প্রায় লক্ষাধিক দর্শক সমাগম হয়েছিল।
    বাংলাদেশের যখন যে স্থানে ইত্যাদি ধারণ করা হয় সেই স্থানটির বৈশিষ্ট্যকে কেন্দ্র করেই মঞ্চ নির্মাণ করা হয়। ফলে দর্শকরা যেমন ঐ স্থানটি সম্পর্কে জানতে পারেন, তেমনি নিত্য-নতুন লোকেশনের কারণে প্রতিবারই মঞ্চ নির্মাণেও আসে বৈচিত্র্য। এবারও হাওড় অঞ্চলের জীবন-জীবিকা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরে জলে ও ডাঙ্গায় শতাধিক নৌকা রেখে নির্মাণ করা হয় নান্দনিক মঞ্চ। সব সময় রাতের আলোকিত মঞ্চে ইত্যাদি ধারণ করা হলেও এই স্থানের নৈসর্গিক রূপ রাতের বেলায় দেখানো সম্ভব নয় বলে এবার দিনের আলোর পড়ন্ত আভায় ইত্যাদির ধারণ শুরু হয়।
    ফাগুন অডিও ভিশনের একজন মুখপাত্র জানান, তিন দশক পেরিয়ে চার দশকে পদার্পণ করেছে ইত্যাদি। সাধারণ মানুষের সমর্থন, সহযোগিতা, ভালোবাসার কারণেই ইত্যাদি এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পেরেছে। আমরাও সব সময় বলি ইত্যাদি সব বয়সের, সব শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান।
    কারণ একটি শিশুও যেমন ইত্যাদি দেখে, তেমনি তার দাদুও দেখেন। ইত্যাদিতে আমরা সবার কথা বলতে চেষ্টা করি। কারণ দেশ গড়ায় সবার অবদান রয়েছে। আর তাই আমরা ইত্যাদিকে নিয়ে যাই গ্রামে-গঞ্জে, সাধারণ মানুষের কাছে। দর্শকরা সময় বের করে আমাদের অনুষ্ঠান দেখতে বসেন। আমরাও তাদের সেই সময়ের মূল্য দিতে চেষ্টা করি।
    স্টুডিওর বাইরে গিয়ে অনুষ্ঠান ধারণের এই ধারণাটিকে এখন অনেকেই গ্রহণ করেছেন। ফলে টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণেও বৈচিত্র্য এসেছে। এবারে কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের হাওড় অঞ্চলে ধারণকৃত অনুষ্ঠানটি বিষয় বৈচিত্র্য, স্থান নির্বাচন সবদিক থেকেই হয়েছে ব্যতিক্রমী ও উপভোগ্য।
    গণমানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির এই মিঠামইনের পর্বটি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে ০৪ অক্টোবর, শুক্রবার-রাত ৮ টার বাংলা সংবাদের পর।
    ইত্যাদির রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। ইত্যাদি স্পন্সর করেছে যথারীতি কেয়া কসমেটিকস্ লিমিটেড।