মাহমুদুর রহমানকে হামলার ব্যাপারে ফখরুলের অভিযোগ

    0
    247

    ডেস্ক নিউজঃ মাহমুদুর রহমানকে বহনকারী গাড়িটিতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। ওই হামলায় তিনি আহত হন। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আদালত চত্বর ছেড়ে যশোরে চলে যান মাহমুদুর রহমান। পরে বিমানযোগ ঢাকায় এসে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

    ওই হামলার নিন্দা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘হামলার পর মাহমুদুর রহমান সেখানে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগও পাননি। কিন্তু সরকারের উচিত ছিল তাঁকে পুলিশের সহযোগিতায় চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা আসার ব্যবস্থা করে দেওয়া। কিন্তু সরকার সেটি করেনি। বরং হামলার জন্য হামলাকারীদের সুযোগ করে দিয়েছে।’

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান আদালতে যাওয়ার পর অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আদালত এলাকা ঘিরে রাখে ছাত্রলীগ। তাদের সাথে যোগ দেয় স্থানীয় যুবলীগ। মাহমুদুর রহমান কোর্টের ওসির কথায় আদালত থেকে বের হওয়ার পর চার দিক থেকে তার ওপর হামলা করা হয়। এতে তার মাথা ও গালে আঘাত লাগে, তিনি রক্তাক্ত হন।’

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা দ্রুত হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি। এ হামলার মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হলে দেশের প্রতিটি সেক্টর সরকার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্র ভেঙে পড়েছে, রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান এখন আর জনগণের কাজে আসছে না।’

    তিনি আরও বলেন, ‘একমাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে এ স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। না হলে শুধু মাহমুদুর রহমান নয়, কোনো নাগরিক আদালত বা কোথাও নিরাপদ থাকবে না।’

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।পার্সটুডে থেকে

    উল্লেখ্য,মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, কু‌ষ্টিয়া জেলা ছাত্রলী‌গের সভাপ‌তি ইয়া‌সির আরাফাত তুষা‌রের মানহা‌নি এক মামলায় (রোববার) দুপুর ১২টার দিকে কু‌ষ্টিয়ার সি‌নিয়র জু‌ডি‌শিয়াল ম্যা‌জি‌স্ট্রেট আদালতের বিচারক এম. এম. মো‌র্শেদ ১০ হাজার টাকা জামান‌তে স্থায়ীভা‌বে জা‌মিন মঞ্জুর ক‌রেন। জামিন পাওয়ার পর আদালত এলাকায় জমায়েত হয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। কয়েক ঘণ্টা সেখানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন মাহমুদুর রহমান।

    এম আব্দুল্লাহ আরও জানান, হামলার আশংকায় মাহমুদুর রহমান কুষ্টিয়া সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট এম.এম মোর্শেদের অনুমতি নিয়ে তার আদালতে আশ্রয় নেন। কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পরে লিখিতভাবে পুলিশ প্রেটেকশনের জন্য তিনি আবেদন করেন। পরে বিকেলে সোয়া চারটার দিকে তিনি আদালত এলাকা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে তার ওপর হামলা চালানো হয়।