মালোপাড়ায় সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী

    0
    247

    আমারসিলেট24ডটকম,২৩জানুয়ারীঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার যশোর সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি অভয়নগর উপজেলার মালোপাড়ায় রাজনৈতিক  সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় নওয়াপাড়া শংকরপাশা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে যশোরের শিল্প শহর নওয়াপাড়ায় এখন সাজ সাজ রব। দেশের কোনো প্রধানমন্ত্রীর ওই অঞ্চলে আগমন কিংবা জনসভার  এটাই প্রথম সফর। ফলে অভয়নগরের মানুষের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
    এদিকে চলতি বছরের শুরুতেই চাপাতলা মালোপাড়ায় ঘটে গেছে ওই অঞ্চলের সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।জানা যায় জামায়াত-শিবির ও বিএনপির সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবে মালোপাড়া পরিণত হয় আতঙ্কপুড়িতে। মোট ১১০টি পরিবারের মধ্যে ৫১টি পরিবারের ওপরই নেমে আসে চরম নির্মমতা। তাণ্ডব চালিয়ে এসব পরিবারের বসতবাটিসহ সহায়-সম্পদ মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু এমন চরম দুঃখের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর আগমনে সেখানে এখন সুখের বাতাস বইছে।
    প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে রাস্তাঘাট সংস্কার, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে মালোপাড়াসহ অভয়নগরের নওয়াপাড়া অঞ্চল। দ্রুতগতিতে চলছে শেষ মুহুর্তের উন্নয়নমূলক নানা কাজও। বিদ্যুৎ সংযোগপ্রাপ্তির সাথে সাথে পৌঁছে গেছে ডিশলাইনও। আর মালোপাড়ার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নির্মিত হচ্ছে ঘরবাড়িও। আশপাশে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও মালোপাড়ার ১১০ পরিবার ছিল তা থেকে বঞ্চিত। তবে ৫ জানুয়ারির তাণ্ডবের পর সেই মালোপাড়াতেই বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হয়েছে।
    এছাড়া কাঁচারাস্তাও পাকাকরণের হরদম কাজ চলছে। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বা বিজিবির তত্ত্বাবধানে করা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি নির্মাণের কাজ। সরকারের এসব উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মালোপাড়ার বাসিন্দারা আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পাচ্ছে। তাদের মাঝে বইছে আনন্দের বাতাস। কারণ এই প্রথমবারের মতো বিদ্যুতায়িত হচ্ছে তাদের এলাকা। প্রথম ব্যবহার করতে পারবেন পাকা রাস্তা। ক্ষতিগ্রস্তরা পাবেন সেমিপাকা ঘর আর সর্বোপরি প্রথমবারের মতো কাছে পাবেন দেশের প্রধানমন্ত্রীকে।
    অন্যদিকে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির তাণ্ডবে আতঙ্কিত ও দিশেহারা মালোপাড়ারা বাসিন্দারা প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উচ্ছ্বাসিত। তাদের মতে, প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী তাদের এলাকায় আসছেন এরচেয়ে খুশির আর কি হতে পারে। তাছাড়া পাকা রাস্তা, বিদ্যুতের ব্যবস্থাও হয়ে গেছে। এখন একটাই দাবি- অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পটি যেন স্থায়ীভাবে রাখার অনুমতি দেন প্রধানমন্ত্রী।
    তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত মালোপাড়ার বাসিন্দাদের এ পর্যন্ত নগদ প্রায় ২০ লাখ টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত চাল, ডাল, তেল, ঢেউটিন ও কম্বলও দেয়া হয়েছে। স্কুলের জন্য দেয়া হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা, মন্দিরের জন্য ৭৫ হাজার টাকা। এখন আর অনুদানের প্রয়োজন নেই। বরং হিন্দু-মুসলিম আমরা যেমন সৌহার্দ্যপূর্ণ অবস্থানে ছিলাম সেখাবেই থাকতে চাই। আমরা চাই সেরকম পরিস্থিতি ফিরে আসুক।