মুহাম্মদ এমদাদুলহক জাবেরঃ মহান অাল্লাহ তা’য়ালা যুগে যুগে নবি-রাসুল আলাইহিমুসসালামগণকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন এর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল মানবজাতিকে উত্তম চরিত্র শিক্ষা দেয়া। চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ। চরিত্র ঠিক রেখে জীবনতরী পরিচালনা করবে এবং চরিত্র বিধ্বংশী যে কোন অাচার-অাচরণ থেকে নিজেকে এবং অন্যকে রক্ষা করবে এটাই প্রত্যাশা করে ইসলাম।
চরিত্রবান প্রশংসিত হয়। চরিত্রহীন লোক হয় সকলের কাছে ঘৃণিত। মহৎ চরিত্রের অধিকারী নবি মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়া সাল্লামের প্রশংসায় অাল্লাহ তা’য়ালার কুদরতি কন্ঠে ধ্বনিত হয়েছে, অাপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী। [অাল কুরঅান,সুরা অাল-কলম,অায়াত-৪]
শুধু তা নয়, চরিত্রবান এ মহান সত্বার জীবনকে করেছেন অামাদের যাপিত জীবনের মডেল। পবিত্র কুরঅানে অাল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন,নিশ্চই তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহর মধ্যে উত্তম অনুপম অাদর্শ রয়েছে। অতএব অাল্লাহ-রাসুল নির্দেশিত পথ ও পন্থায় নিহিত রয়েছে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি। অাল্লাহ-রাসুলের নীতি অনুসরণ ও অনুকরণ করেই চলতে হবে সকলকে,যেমনি করে অামাদের পূর্বসূরী হয়েছেন স্বরণীয়-বরণীয় ও অাদর্শ মানুষ। তারা ছিলেন নীতি-নৈতিকতার শক্তভূমিতে অবিচল। কিন্তু সময়ের পরিবর্তন এত প্রকট যে,অনেকেই অাচার-অাচরণ সম্পর্কীয় ভুলেই যাচ্ছে। চরিত্রের লেবাস খসে পড়ছে তাদের জীবন থেকে। নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে।
এর প্রধান কারণ হচ্ছে অামরা ইসলামি শিক্ষা থেকে দূরে থাকা। ইসলামে দ্বীনি জ্ঞান অর্জন ফরজ করা হয়ছে। প্রত্যেক মুসলমানকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়া সাল্লাম এর অাদর্শকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
একদা জনৈক ব্যক্তি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়া সাল্লাম এর দরবারে উপস্থিত হয়ে তাকে জিজ্ঞেসা করলেন,”ইয়া রসুলুল্লাহ! ধর্ম কী? জবাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সৎস্বভাবই ধর্ম।” প্রত্যেক মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব হচ্ছে উত্তম চরিত্র থাকা। নিজে সৎচরিত্রবান হতে হবে এবং অন্যকেও সৎচরিত্রবান হওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে হবে।
একটি পরিবার সুন্দর হবে যদি পরিবারের সদস্যরা উত্তম চরিত্রবান হয়। সমাজ সুন্দর হবে যদি সমাজের মানুষ উত্তম চরিত্রবান হয়। একটি দেশ উন্নত রাষ্ট্র হবে যদি ঐ রাষ্ট্রের মানুষ সৎ হয়। লেখকঃশিক্ষার্থী,জামেয়া অাহমদিয়া সুন্নিয়া অালিয়া কামিল মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম।