মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স তৃপ্তি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ

0
294
নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রলি হেলপার নিহতঃআহত-১
নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রলি হেলপার নিহতঃআহত-১

এম এ কাদের, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নার্স ডরমেটরির একটি অংশকে নিজের খেয়াল খুশিমতো দখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে নার্স তৃপ্তি বরন মিস্ত্রীরির বিরুদ্ধে।

গোপন সুত্রে জানা যায়,অবিবাহিত হিসেবে ডরমিটরীতে থাকার জন্য জায়গা বরাদ্দ নিলেও এখন কাজী শফিকুল ইসলাম বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজ,বিজয় নগরে অধ্যয়নরত কন্যা বর্না মিত্রসহ সেখানে অবস্থান করছেন তিনি। তার কন্যা হাসপাতালটিতে কর্মরত না হলেও তৃপ্তিকে  আরো একটি সিট তিনি তার খেয়াল খুশিমত দখল করে ব্যবহার করছেন। মা মেয়ে মিলে নার্স ডরমেটরির এক রুমের দুটি সিট দখল করে রাখার ফলে আবাসন সংকটে ভুগছেন সেখানে কর্মরত ব্যাচেলর নার্সরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নার্স জানান তৃপ্তি বরন মিস্ত্রি একাধারে ২০ বছরের ও উপরে একই কর্মস্থলে বসবাস করায় নানা ভাবে ক্ষমতা দেখিয়ে যাচ্ছেন।তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। তিনি নার্সদের শিডিউল বণ্টন করেন তার খেয়াল খুশি মতো।

হাসপাতালটির সিনিয়র স্টাফ নার্স সুমা খাতুন ৮ই আগস্ট নার্স ডরমেটরিতে স্থান বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আবেদন করলেও সিট না থাকায় তিনি তা পাননি। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালের দায়িত্বরতদের ম্যানেজ করেই প্রায় বিশ বছরেরও অধিক সময় ধরে ডরমেটোরিটির একাংশ দখল করে রেখেছেন নার্স তৃপ্তি।

এ বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান “এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: এ.এইচ.এম ইশতিয়াক মামুন স্যারের সাথে কথা বলেন। আমি কিছু বলতে পারবো না।“

এ বিষয়ে ডাঃ ইশতিয়াক মামুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হাসপাতালে কোন আবাসন সংকট নেই। সুমা খাতুন এখনো সিট পায়নি কেন এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, সিট খালি হলে পাবেন। সংকট না থাকলে সিট পাচ্ছেন না কেন জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান কোয়ার্টার খালি আছে। তৃপ্তি বরন মিস্ত্রীরি নিজের মেয়েকে নিয়ে থাকছেন জানালে তিনি বলেন বাচ্চা মেয়ে হিসেবে থাকতে পারেন। অথচ তার মেয়ে কলেজে পড়েন জানালে তিনি বলেন, “তিনি জানতেন ওই মেয়ে স্কুলে পড়েন, তবে কলেজেও পড়তে পারেন,এটি তার জানা ছিল না।“

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নুরুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।