মাথা গুজার শেষ আশ্রয় “বিন্না ঘর ও ভূমি” অধিগ্রহন করিও না

    0
    215

     ডিবির হাওরের ৬১.৫একর ভূমি রক্ষার ২১ মুক্তিযোদ্ধা সহ এলাকাবাসীর আবেদন

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৭মার্চ,রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর প্রতিনিধিঃপাথর ভাঙ্গার কল স্থাপনের শর্ত পূরণ করতে “ষ্টোন ক্রাশিং জোন’ করতে উদ্যোগ গ্রহন করে জেলা প্রশাসন। ২০১৩সনের নীতিমালার আলোকে ষ্টোন ক্রাশিং জোন করতে বেছে নেওয়া হয়েছে একটি হাওর ও মহান মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহনকারী ২১ মুক্তিযোদ্ধা সহ ২শত পরিবারের ৬১.৫ একর বসতবাড়ী এবং ফসলী জমি।  গ্রামবাসীর তাদের ৬১.৫ একর ভূমি রক্ষার প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছেন।

    আবেদন সূত্রে জানাযায়- হতদরিদ্র, গরীব অসহায়, কৃষক ও শ্রমিক সম্প্রদায়ের প্রায় ২শত পরিবার নিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের ডিবিরহাওর গ্রাম। উপজেলার মধ্যে মহান মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহনকারী ২১বীর মুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়ী হল ডিবিরহাওর গ্রামে। এলাকায় বেশির ভাগ লোক গ্রামটির নাম বলেন মুক্তিযোদ্ধা গ্রাম হিসাবে। কারন এত মুক্তিযোদ্ধা জৈন্তাপুরের আর কোন গ্রামে নেই। মুক্তিযোদ্ধা সহ গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। সম্প্রতি সরকার মানুষের কল্যাণে দেশের আত্ম সামাজিক উন্নয়নে পাথর ক্রাশিং জোন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তারা আবেদনে বলেন সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচীকে স্বাগত জানাই। সে জন্য কি আমাদের বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বন “বিন্না ঘর ও ফসলী ভূমি দিতে হবে।

    এদিকে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে গত জানুয়ারী মাসে প্রাথমিক ভাবে জায়গা চিহ্নিত করন, সম্ভাব্যতা যাচাই সহ সরেজমিন পর্যায়ে সকল কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ফেব্র“য়ারী মাসে এর নীতিগত অনুমোদন লাভ করে। চুড়ান্ত অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করবে সংশিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভূমি সংশিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ষ্টোন ক্রাশার জোন করার স্থান নির্ধারন করা হয়। ডিবির হাওর মৌজার  ১৫নং জেএল স্থিত ২নং খতিয়ানের ৬,৫/২৬,৫/২৫,৮/২৩,৫/১০,২১ ও ২৪নং দাগে মোট ৬১.৫ একর জায়গা নির্ধারন করা হয়। তখন বিষয়টি জানতে পেরে ২১মুক্তিযোদ্ধা সহ গ্রামবাসী। তাৎক্ষনিক ভাবে মুক্তিযোদ্ধা সহ ১২১জন স্বাক্ষরিত আবেদন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্ঠি আর্কষনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন দাখিল করে। কিন্তু আমাদের আবেদনে সাড়া না দিয়েই চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারের উচ্চ মহলে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়। এলাকাবাসীর দাবী উলেখিত ৬১.৫ একর জায়গা ছাড়া না হলে আন্দোলনে নামবেন।

    এবিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মিয়া, আব্দুছ ছোবহান, আব্দুল মনাফ, শামছুল হক, আব্দুল খালেক, সুবল চন্দ্র বিশ্বাস, জিতেন্দ্র বিশ্বাস, কৃষ্ণ বিশ্বাসের সাথে আলাপকালে তারা বলেন- সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পূর্ণবাসনের জন্য কমপেক্স বরাদ্ধ করেছে। কিন্তু সেই কমপেক্স এখন পর্যন্ত করা হচ্ছে না বরং অর্থ ফেরত পাঠানোর পায়তারা করা হচ্ছে। আমাদের বিন্না দিয়ে বানানে কুড়েঘর ও ফসলী জায়গা অধিগ্রহন করে আমাদের শরনার্থী করতে চায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। জীবেনের শেষ প্রান্তে এসে বেঁেচ থাকার লক্ষ্যে ভুমি রক্ষার জন্য প্রয়োজন হলে আবারও অস্ত্র হাতে নিতে বাধ্য হব। বীর মুক্তিযোদ্ধারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে করজুড়ে আবেদন জানান তাদের মাথা গুজার একমাত্র আশ্রয় “বিন্না ঘর ও ভূমি অধিগ্রহন করিও না, আমরা শেষ বয়সে যাব কোথায়”।

    এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে (০১৭৩০-৩৩১০৩৭) যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।