মহামারি আইন ভঙ্গঃভারতে তাবলিগী নেতার বিরুদ্ধে মামলা

    0
    211

    তাবলিগ জামাতের নেতা মাওলানা সাদ ও নিজামুদ্দিন মারকাজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার মহামারি আইনে এই মামলা করা হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়। কোলকাতা২৪-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজামুদ্দিন মারকাজের সমাবেশে এসেছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। সেখান থেকে শতাধিক মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হয়। এখন পর্যন্ত ওই জমায়েতে ছিলেন এমন ২৪ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। পুলিশের পিআরও মান্দিপ সিং রান্দাওয়ি বলেন, অপরাধ শাখা থেকে এ ঘটনার তদন্ত করা হবে।
    দেশটির ১৮৯৭ সালের এপিডেমিক ডিজিস অ্যাক্ট ও ভারতীয় দণ্ডবিধির অন্য ধারা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।

    নিজামুদ্দিন মসজিদে তাবলিগ জামাতে যোগ দেয়া তেলেঙ্গানার ছয়জন ও শ্রীনগরের একজন নিয়ে মোট সাতজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তা ছাড়া ওই জমায়েতে অংশ নেয়া তামিলনাড়ুর আরও অন্তত ৫০ জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে।
    দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদটিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রায় ২০০০ লোকের জমায়েত হয়েছিল। তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেয়া তিন শতাধিক মানুষকে সোমবার হাসপাতালে নেয়া হয়। মঙ্গলবার মসজিদটি সিল করে দেয়া হয়েছে। আর সেখান থেকে ৭০০-এর বেশি মানুষকে বের করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। যেসব রাজ্যের মানুষ ওই জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন তাদের খোঁজ করা হচ্ছে রাজ্য প্রশাসন থেকে।

    প্রসঙ্গত,তাবলীগ জামাতের এই কর্ম কাণ্ডকে ভারতে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের নতুন হটস্পট হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যার সাথে এর কমপক্ষে ২০০ টি মামলা জড়িত।
    তাবলিগ জামায়াত জামাত যে ১৩ মার্চ থেকে ১৫ ই মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেখানে কভিড -১৯ প্রাদুর্ভাবের ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলির পণ্ডিতগণসহ ২,০০০ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
    এখানে উপস্থিত ছিলেন ১৯ রাজ্য থেকে। এর মধ্যে রয়েছে- তামিলনাড়ু থেকে ৫০১, আসাম থেকে ২১৬, উত্তর প্রদেশ থেকে ১৫৬,মহারাষ্ট্র থেকে ১০৯,১০৭ মধ্য প্রদেশ থেকে বিহার থেকে ৮৬,পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৭৩, হায়দরাবাদ থেকে ৫৫, ছত্রিশগড় থেকে ৪৬, কর্ণাটকের ৪৫, উত্তরাখণ্ডের ৩৪ , হরিয়ানা থেকে ২২ জন, আন্দামান থেকে ২১ জন, রাজস্থান থেকে ১৯ জন, হিমাচল প্রদেশ,কেরালা ও ওড়িশা থেকে ১৫, পাঞ্জাবের ৯ জন এবং মেঘালয় থেকে ৫ জন।

    এছাড়াও এই ইভেন্টে অংশ নেওয়া আন্তর্জাতিক নাগরিকরা কমপক্ষে ১৯ টি দেশ থেকেএসেছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে- নেপাল থেকে ১৯ জন, মালয়েশিয়ার ২০ জন, মায়ানমার থেকে ৩৩, ক্রাইগস্তান থেকে ২৮, ইন্দোনেশিয়া থেকে ,২, থাইল্যান্ডের ,১, শ্রীলঙ্কা থেকে ৩৩, ইংল্যান্ডের তিনটি, ফিজির চারটি, কুয়েতের দু’জন, একজন ফ্রান্স, আলজেরিয়া, জিবুতি এবং সিঙ্গাপুর।
    ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থাগুলোর করোনভাইরাস মামলার এবং ধর্মীয় জামাতের মধ্যে সংযোগ না পাওয়া পর্যন্ত নিজামউদ্দিন মারকাজের কার্যক্রম সম্পর্কে দিল্লি সরকার অন্ধকারে ছিল।