মহাপরিচালকের জামাতা পরিচয় দিয়ে প্রতারনা

    1
    553

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২০মার্চ,মতিউর রহমান মুন্নাঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে এক শিক্ষক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক’র ভাইজির জামাই পরিচয় দিয়ে মানুষকে চাকুরি ও বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ে সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের মাউশি থেকে এমপিও ছাড় করিয়ে দেয়ার কথা বলে সাধারন মানুষ ও বিভিন্ন প্রতিষ্টানের শিক্ষকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওযা গেছে। এ ঘটনায় উপজেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্টানে কর্মরত ৬জন শিক্ষক বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ছাড়া ও জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগকারী শিক্ষকরা হলেন, ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শাহীনুর রহমান, মাহবুব আলম, মোঃ সেলিম উদ্দিন, সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল আহাদ, নাদামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুম আহমেদ, বাগাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজল চন্দ্র। এলাকাবাসী ও অভিযোগসুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় বছর ধরে বি.বাড়ীয়া জেলার কসবা উপজেলার হাতুড়া বাড়ী গ্রামের আরু মিয়ার ছেলে সফিকুল ইসলাম সহকারী শিক্ষক (গনিত) শাখায় কর্মরত রয়েছেন। চাকুরিতে থাকার সুবাধে সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে নিজেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের ভাইজির জামাই বলে পরিচয় দিয়ে আসছিল। এ কারনে তিনি উক্ত প্রতিষ্টান সহ অন্যান্য প্রতিষ্টানে বেশ দাপুটের সাথেই চলে আসছেন। সম্প্রতি তিনি প্রচার করেন চাকুরে সহ সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের মাউশি থেকে এমপিও ছাড় করিয়ে দিতে পারবেন। এ খবর এলাকায় জানাজানি হলে সাধারন মানুষ ও সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকরা এমপিও ছাড় করানোর জন্য তার কাছে ছুটে যান। এতে তিনি ৩০/৫০ হাজার করে টাকা চাকুরিতে প্রায় লক্ষ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু যারাই টাকা দিয়েছেন কারোই চাকুরে কিংবা এমপিও ছাড় হয়নি। এতে প্রতারিত সাধারন মানুষ ও শিক্ষক তার কাছে ধর্না দিতে দিতে দিন যাচ্ছে। দিনের পর দিন যাচ্ছে প্রতারিত লোকজন কিছুই পাচ্ছে না। এর মধ্যে সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষক বেতন ভাতা প্রতিষ্টান থেকে না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতেছেন। এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ব স্ব প্রতিষ্টানের প্রধান শিক্ষকের কাছে বার বার অবগত করা হলে ও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে ও অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদরুল আলম’র সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক সফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইল নং (০১৭৮৩-৮৩৪৫২০) নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।