মহানবীর(দঃ) মিলাদের নিদর্শনটিও ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা!

    1
    300

    আমার সিলেট  24 ডটকম,২১অক্টোবরচলতি বছর হজ্জ মৌসুমে মক্কা শরীফ ও মীনায় ভ্রমণ করে ফেরত অনেক হাজীর সুত্র ধরেই একটি অনলাইন  সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন,  আধুনিকায়নের নামে মহানবী হযরত মুহাম্মদ(দঃ) এর স্মৃতির অনেক কিছুই ইতোমধ্যে ধ্বংস করে ফেলেছে সৌদি সরকার এবং বাকি যে স্মৃতিগুলো ছিল  তাও ধ্বংস করার পথে।এ প্রসঙ্গে ইসলামিক হেরিটেজ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রধান ইরফান আল আলয়াওয়ির সুত্রে সংবাদ মাধ্যমটি  জানান, মক্কায় মহানবীর(দঃ)  যত স্মৃতি আছে তার সব কিছুই ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। মহানবীর(দঃ)  স্ত্রী, দৌহিত্র ও সাহাবীদের বাসস্থানের নিদর্শনগুলো এরই মধ্যে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এখন মহানবীর (দঃ) জন্মস্থানের নিদর্শনটিও ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা চলছে। মহানবীর(দঃ) জন্মস্থানে একটি সাত তারকা হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সৌদি সরকার।
    সৌদি আরবের গ্রান্ড মসজিদের পশ্চিমে খান্দামা পর্বতের পাদদেশে মহানবীর(দঃ)  জন্মস্থানে একটি লাইব্রেরী স্থাপন করা হয়েছিল। এইটিকে মাউলিদের(দঃ) (মিলাদের)  ঘরও বলা হত । সৌদি আরবে মক্কার আধুনিকায়ন প্রকল্পের নামে এই ঘরটিও ভেঙ্গে ফেলা হবে। এর পাশ্ববর্তী স্থানেই বেগম খাদিজার (রাঃ) বাসস্থানটিও ভেঙ্গে ফেলাহয়েছে। তৎকালীন সময়ের অন্যান্য নিদর্শনগুলোর একটিও এখন অবশিষ্ট নেই। এই স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে আগামী দিনে অধিক হাজীর চাপ সামলাতে মেট্রো রেল ও যানবাহনের জন্য ভূনিম্নস্থ পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে সংবাদ মাধ্যমটি জানান ।

    হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এর জন্মস্থান বলে পরিচিত এই নিদর্শনটিকে ভেঙ্গে ফেলা নিয়ে যেকোন বৈরী পরিস্থিতি সামাল দিতে সৌদি সরকার নানান ব্যবস্থাও নিয়েছে। মাউলিদের(দঃ)  ঘরের সামনে পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় লিখে একটি নোটিশ বোর্ড ঝুলানো হয়েছে। ওই নোটিশ বোর্ডে লেখা আছে, কোন প্রমাণ নাই যে এই বাড়ীটি হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এর জন্মস্থান ছিল! তাই, একটি পবিত্র স্থান বিবেচনা করে এই বাড়ী পরিদর্শন, ইবাদত করা বেআইনী। সৌদি সরকারের এই আদেশ বলবত করতে ওই স্থানে ধর্মীয় পুলিশও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ওই ধর্মীয় পুলিশের কাজ হচ্ছে, মহানবীর(দঃ)  জন্মস্থান হিসাবে পরিচিত স্থানটিতে কেউ যেন ইবাদত করতে না যায় তা নিশ্চিত করা।

    এইভাবে ইসলামী সংস্কৃতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। এই ধ্বংসযজ্ঞের পেছনে ইন্ধন যোগাচ্ছে চরমপন্থী ওহাবীদের একটি গ্রুপ। এই গ্রুপটি মনে করে, ইসলামী সংস্কৃতির এই স্থাপনাগুলো রেখে দিলে মানুষ এই স্থানগুলোতে এসে ইবাদত করবে। এইভাবে কতগুলো নির্দিষ্ট স্থানে এসে ইবাদত করাকে পাপ বলে গণ্য করে এই ওহাবী গ্রুপটি।সৌদি আরবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া অনেকগুলো স্থাপনার মত আরেকটি স্থাপনা হচ্ছে বির-ই-তাওয়া।

    উল্লেখ্য, মহানবী(দঃ)  বির-ই-তাওয়াতে রাত্রি যাপন করেছিলেন। বির-ই-তাওয়ার আশেপাশের হাজার বছরের পুরনো অন্যান্য স্থাপনাগুলো ইতোমধ্যেই ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ওই স্থানে একটি হোটেল নির্মাণ করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিসম্প্রতি বির-ই-তাওয়াও ভেঙ্গে ফেলা হবে।চলতি বছর সৌদি আরবে হজ ভ্রমণ শেষে ইসলামিক হেরিটেজ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রধান ইরফান আল আলয়াওয়ি বলেন, আরো অধিক সংখ্যক হাজীর জায়গা করে দিতে কাবা শরীফের অবকাঠামোও বদলে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে, আগের মতো সমস্ত হাজী কাবাঘর দেখতে ও কাবাঘরের সান্নিধ্যে আসতে পারবে না।সুত্র-নতুন দিনইন্টারনেট।