মসজিদে বিস্ফোরণে মৃত্যু-১১,আহত বেড়ে-৪০,তদন্ত কমিটি গঠন

    0
    301

    নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। মৃতের তালিকায় রয়েছেন মসজিদের মুয়াজ্জিনও। এ ঘটনায় প্রথমে ২৫ জন আহতের কথা জানা গেলেও পরে এর সংখ্যা বেড়ে জায়।এ পর্যন্ত ৪০ জনের গুরুতর আহতের তথ্য পাওয়া গেছে।
    শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য জানান। তবে নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
    এ ঘটনায় শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম মৃত্যু হয় জুয়েল নামের এক শিশুর। এরপর রাতে ও আজ শনিবার সকালে বাকিদের মৃত্যু হয়।
    উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৪০ জনের মধ্যে ৩৭ জনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন জানান, বাইতুস সালাত জামে মসজিদের ছয়টি এয়ার কন্ডিশনার (এসি) কীভাবে একসঙ্গে বিস্ফোরিত হল, তার কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত কমিটির নাম জানা যায়নি।

    এদিকে ঘটনাস্থলে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল রেড টেপ দিয়ে আটকিয়ে দেয়া হয়েছে। আমি সদর হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) গিয়েছিলাম, অধিকাংশই ঢাকা মেডিকেলে চলে গেছে। আমি স্বাস্থ্য সচিব এবং কেবিনেট সেক্রেটারিসহ সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যারা গিয়েছে তাদের খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। সবাইকে ধৈর্য ধরার এবং দোয়া করার অনুরোধ করব।