মসজিদের ব্যাপারে চীন ও ভারতের ক্ষমতাবানরা একমত

    0
    227

     গোলাম দস্তগীর লিসানীর ফেইস বুক থেকেঃ  চীনে গত ২ বছরে অগণিত মসজিদ মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। শত শত বছর পুরনো মসজিদ। বিরাট বিরাট মসজিদ। একের পর একের পর এক। গুগল স্যাটেলাইট ইমেজ বলছে, মানুষ বলছে না। মানুষের মুখে ভাষা বা দাঁড়ি – কোনটাই নাই।

    ভারতে বাবরী ভাঙ্গার ২৬ বছর হল।এবার আরো ৩ টি বড় মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়ার তফসিল করেছে; ক্ষান্ত দেবে?

    ঊহু, ৩ হাজার মসজিদের তালিকা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীমশায় হিসাব দেন।

    পৃথিবীর বৃহত্তম মসজিদের তকমা নিয়ে শত বছর ছিল দিল্লি জামে মসজিদ। সেটার তলায়ও নাকি মুরতি পাবে, আশা করা যায়, ভাংলে।

    ভারতে মসজিদে গেলে তীরন্দাজী হয়, আর চীনে ভয়ে কেউ মসজিদে যায়ই না। কে যাচ্ছে, হিসাব হয়। সিসিটিভি আর চীন তো সমারথক।

    এখনো যেগুলো ভান্গা হয়নি এমন এক বড় মসজিদ ঠিক ৪ বছর আগে ভরা থাকতো, এখন ৮/১০ জন যায়। কেন লোকজন আসে না, ব্যাখ্যা করলেন এক মুসল্লি:
    আগে কাজ ছিল না, আসতে পারতো। এখন কাজ আছে, পারে না।

    ( চার বছর আগেও দাঁড়িি ছিলো, কাজ ছিলো না, আজ কাজ আছে বলে সবার মুখে দাঁড়ি নাই। তা আর তিনি অবশ্য বলেন নাই।)

    প্রতিটি বিষয়ে চীন ও ভারত দ্বিমত হলেও প্রথমবার রোহিঙ্গাদের বিষয় নিয়ে তারা হুবহু একমত ছিলেন, এরপর বহুদিন গেলো, মসজিদের ব্যাপারে তারা একমত হতে পেরেছেন।

    একটা ব্যাপার কি খেয়াল করছেন? আগে উগ্রবাদীদের
    ঠেকানো হত আর এখন সব্বাইকে বিলুপ্ত করে দেয়ার কাজ চলছে! ভাল, মন্দ, সাদা, কালো, চীনা-বরমী-ভারতীয়… এদের ভাষা ভিন্ন, ‘দেশ’ ভিন্ন, সবই ভিন্ন – শুধু একটা ব্যাপার এক।

    ভাইরে,
    তুমি ও আমি একই ছিলাম, একই আছি, রবো-যাঁর ছিলাম, তাঁরই আছি, তাঁরই জেনো হবো।

    এ কী সময় দেখতে হলো! ইয়া রব! আমরা পাপাচারী, কিন্তু আমরা দুরবল। যে ভার বহনের শক্তি নাই সে ভার তুমি দিয়ো না। সহ্য করার শক্তি অন্তত দাও, তুমি ধৈর্য্যশীলের সাথেই যখন আছো-ধৈর্য্যটুকুই শুধু নাহয় দাও। সুত্রঃ  Golam Dastagir Lisani