ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করে জাতি কলংকমুক্ত করতে হবেঃমহসীন আলী

    0
    210

    আমারসিলেট24ডটকম,০৬ডিসেম্বর,শাব্বির এলাহীসমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী এমপি বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ না করে সুযোগ বুঝে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছে তারা ফাও মুক্তিযোদ্ধা। ফাও মুক্তিযোদ্ধাদের সমর্থন করলে কলঙ্ক আপনাদের। ফাও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাতিল করতে আপনাদেরকেই প্রতিবাদ করতে হবে। ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে জাতিকে কলংকমুক্ত করতে হবে। কমলগঞ্জেও ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে আসল মুক্তিযোদ্ধাদের খুজে বের করতে হবে কমলগঞ্জবাসীকে।

    তিনি বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি পছন্দ করি না তাই ভিক্ষাবৃত্তিতে উৎসাহ করা ঠিক নয়। ষাটোর্ধদের সিনিয়র সিটিজেন করে সারাদেশে সর্বক্ষেত্রে সিনিয়র সিটিজেনদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ১৯৭১ সালে পাঁচ ডিসেম্বর কমলগঞ্জ শত্র“মুক্ত হয়েছিল। পাক বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধ করে জেড ফোর্সের চার মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছিলেন। আজ এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী মুক্তিযোদ্ধা ও সকল মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করছি।

    এই দিনটিকে মনে রেখে ৫ ডিসেম্বর কমলগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক অনুদান, সম্মানী ভাতাসহ সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সমাজ সেবা অধিদপ্তর আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক অনুদান, সম্মানী ভাতা ও সুদমুক্ত ঋণদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথাগুলো বলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী।

    কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইফতেখায়ের হোসেন ভূঁঞার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার এর উপ-পরিচালক অরবিন্দু দেব, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার লিলি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মুনিম তরফদার, সাবেক কমান্ডার ক্যাপ্টেন (অব:) সাজ্জাদুর রহমান। শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমলগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সরজিৎ কুমার পাল।

    অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মুজিবুর রহমান রঞ্জু, আব্দুল হান্নান চিনু, আওয়ামীলীগ নেতা অশোক বিজয় দেব কাজল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর, ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে কমলগঞ্জে হাটবাজারের ইজারালব্দ ৪ শতাংশ অর্থ থেকে ৬জন মুক্তিযোদ্ধাকে অনুদান দেওয়া হয় ৩০ হাজার টাকা। মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতার পিপিও বই বিতরণে ৯জনকে দেওয়া হয় ৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর সুপারিশে জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ থেকে অনুদান হিসাবে ৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে দেওয়া হয় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ থেকে ৬টি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক অনুদান দেওয়া ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। সুদ মুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করা হয় ৫০ জনের মাঝে ৫ লাখ টাকা।

    সব মিলিয়ে ৮০ জনের মাঝে অনুদান দেওয়া হয় ১৫ লাখ ২৯ হাজার টাকা।