ভূই শশা চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন জৈন্তার ফখরুল ইসলামের

    0
    250

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫জানুয়ারী,রেজওয়ান করিম সাব্বির জৈন্তাপুর উপজেলার কেন্দ্রি মৌজা গ্রামের ফখরুল ইসলাম(৫৫)। প্রতি বৎসর অন্যের জমি বর্গা চাষ করতে নেমে পড়েন তিনি। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ছাড়াই স্বপ্ন পুরন হয় ফখরুলের। প্রতিবৎসর তিনি অন্যের জমি বর্গা নিয়ে পুরো বৎসরের অর্থ স য় করেন। আর ৪সন্তানকে পড়াচ্ছেন স্কুলে।

    সরেজমিন কেন্দ্রি মৌজার ক্ষেত্রের মাঠ ঘুরে ফখরুল ইসলামের সাথে আলাপকরে যানাযায় কৃষি বিভাগের পরমর্শ ছাড়াই প্রায় ৩একর জায়গায় ৩০হাজার টাকা ব্যয়ে গড়ে তুলেছেন ভূই শশার বাগান। বর্তমানে প্রতিদিন ৮হতে ৯শত টাকার শশা বিক্রয় করেন তার এই বাগান হতে। তিনি জানান এরই মধ্যে তিনি প্রায় ১৫থেকে ২০হাজার টাকার শশা বিক্রয় করেছেন। যে ভাবে ফলন এসেছে সঠিক ভাবে উত্তোলন করতে পারলে তিনি ২লক্ষাধিক টাকার ফলন পেতে পারেন।

    ফখরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা তিনি পাননি কখনো। ৪-৫বৎসর পূর্বে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে কৃষি কার্ড করেছিলেন। কিন্তু কোন সুফল পাওয়াতো দূরের কথা কেউই তার সাথে যোগাযোগ পর্যন্ত করেনি। যে কার্ডের মাধ্যমে আমরা পতিতযশা কৃষক হয়ে সুবিধা পাই না সে কার্ড রাখার প্রয়োজন নেই তাই গত বৎসর (২০১৫) কৃষি কার্ড জমা দিয়েছেন। এবৎসর প্রায় ১০বিঘা জায়গায় ইরি ধান রোপন করছেন।

    তাছাড়া কেন্দ্রি মৌজার বিভিন্ন প্রান্তিক কৃষকরা ও বিভিন্ন প্রকারের সবজি এবং ইরি ধান চাষ করছেন। আরও বলেন যদি কৃষকরা ১হাল হালের গরু এবং নিজের মেধা কাজে লাগিয়ে ২০হতে ৩০হাজার টাকা ব্যায় করে পতিত ভূমিতে খন্ড কালীন চাষাবাদ করেন তাহলে ৩ হতে ৪লক্ষ টাকা খরচ করে বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে ভাল রোজগার করা সম্ভব হবে এবং অভাব অনটন থাকবে না।

    এবিষয়ে জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন- তার ইউনিয়নে ব্যাপক হারে কৃষি সবজি চাষ হয়েছে। তবে বিশেষ করে সরকারি ভাবে সুবিধা পায়নি কৃষকরা। তবে তিনি বলেন- সরকারি সম্পদ সীমিত কিন্তু কৃষি অফিসাররা কৃষকদের মধ্যে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সাধারন পরিচর্যা রোগ বালাই ইত্যাদি সম্পর্কে নূন্যতম ধারনা দিতেন তাহলে আমার ইউনিয়ন উপজেলার মধ্যে সেরা কৃষি নির্ভর ইউনিয়ন হিসাবে গন্য হবে এবং বেকারত্ব ঘোচাবে। আমার ইউনিয়নে আগত কৃষকদের সবাইকে কৃষি বিপ্লবের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি। এককথায় আমার ইউনিয়ন উপজেলার মধ্যে কৃষি বিপ্লবে এগিয়ে রয়েছে।