ভিক্ষা করতে লজ্জা লাগে,তবুও ছেলেটিকে মানুষ করতে চাই

    0
    297

    আশ্রফ আলী, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নে তার আবা‌স। ধলাই নদীর পাড় ঘেঁষে কাটাবিল গ্রামে একটি জীর্ণ কুঁড়ে ঘরে স্ত্রী, নাবালক ছেলে মেয়ে নিয়ে তার  সংসার । সারাদিন বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে তাজা শাকসবজি কিনে সন্ধ্যায় বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গতবছর প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে ঘরে পড়ে রইলেন বহুদিন । তার শরীরের বাম অংশ অবশ অচেতন। ভিটেমাটি বিক্রি করে সাধ্যমত চিকিৎসা করালেও কোন লাভ হয়নি। স্ত্রী সন্তানদের খাবার যোগাবেন নাকি নিজের চিকিৎসা করাবেন সে চিন্তায় অস্থির আশ্রফ আলি আধপেটা খেয়ে না খেয়ে অনেকদিন বিছানায় পড়ে ছিলেন।

    শেষ পর্যন্ত কোন উপায় না পেয়ে লাঠি হাতে ভিক্ষায় বেরিয়ে গেলেন। হাত পেতে যা পান তা দিয়েই সংসার চালান।

    তিনি বলেন, ভিক্ষা করতে লজ্জা লাগে, কিন্তু কি করব ?এছাড়া যে উপায় নেই। প্রতিবন্ধী ভাতা কিংবা সরকারি কোন সাহায্য তার কপালে জোটেনি। তবে হিড বাংলাদেশ নামক একটি এনজিও থেকে মাসিক ৫০০ টাকা করে পান তিনি। আশরাফ আলীর জীবন যেভাবেই যাক তার স্বপ্ন ছিল নাবালক ছেলেটিকে লেখাপড়া করিয়ে মানুষ করবেন। তার সে স্বপ্ন পূরণের জন্য সরকার সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।