ভিওআইপি সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ৩৭ বিদেশীসহ ৫দেশীর রিমান্ড

    0
    208

    আমারসিলেট24ডটকম,২৩জানুয়ারীঃ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার ৩৭ বিদেশীসহ ৫ বাংলাদেশীর প্রত্যেকের দ্বিতীয় দফায় চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। এর আগে গত বছর ২৪ ডিসেম্বর আসামিদের প্রত্যেকের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল।রিমান্ডকৃতরা হলেন, তাইওয়ানের নাগরিক চাও এন ইং, লিউ টি ওয়েই, টিসিং সিয়াং, চেন হসিন জু, সান সাও তাং, লি চুয়াং চেং, লিন চি চুং, চেন য়ু লিয়াং, হো য়ু টিং, লিন য়েনটিং, লিন হোসিং সেন, চিও টিসং ইয়ং, পান ইয়া হসিয়াং, চেং ইয়াং জু, লিং হসিং বিন, লি কুয়ান জুই, লি শিয়া হো, উয়াং টি ইয়ান, চিনা নাগরিক লিয়াও জিনগ্রু, লিয়াং চেং মিনগ, ইয়াং বো, জাহাং লেই, জাহাং তাও, জং ডিন হং, লু জুন কাই, চাই হং রুই, এক্স হং ইউ, ইয়াং মেন হ্যান, জং বো সেন, লিং জি জিং, চেন ইয়াং লিয়াং, লিয়াও ওয়েন ইয়াং, লি পেই ইয়াং, জোউ উ ইয়াং, লি জিয়া কুয়াল, এক্সু এক্সইয়ান টিং, ডিং ওইে হ্যান, বাংলাদেশী নাগরিক হাবিবুর রহমান, কামরুল হাসান, হাবিব হোসেন, হেলাল হোসেন ও জাকির হোসেন। বিদেশী নাগরিকদের মধ্যে ৮ জন নারী রয়েছেন।তবে এ মামলার অন্য আসামি বাংলাদেশী নাগরিক মোজাম্মেল হোসেন রাসেল হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।

    আজ বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যা-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার কাজেমুর রশিদ ফের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিদের আদালতে হাজির করেন। এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউশন পুলিশের সহকারী কমিশনার মিরাশ উদ্দিন। অন্যদিকে আসামিদের রিমান্ড বাতিল করে জামিন চান তাদের আইনজীবী। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আনোয়ার ছা’দত এ আদেশ দেন।আসামিদের আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের পর গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর আসামিদের ৭ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হলে ২ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। এরপর গত ৩ জানুয়ারি ফের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে তা নাকচ করে কারাফটকে জিজ্ঞাসবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ তৃতীয় দফায় তাদের রিমান্ড আবেদন করা হলো।

    প্রসঙ্গত, গত ২২ ডিসেম্বর রাত সোয়া ৯টার দিকে উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টরের ২৮ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩৭ বিদেশি সহ ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    এ সময় তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, ওয়াকিটকি, ল্যান্ডফোন, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্যাবল, সিম, মডেমসহ ১ কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ভিওআইপি যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।

    পরস্পর যোগসাজশে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা করে সরকারের বিপুল পরিমান অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন করার অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১ (সংশোধীত ২০০৬) এর ৩৫(২) ধারায় উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র‍্যাব।খবর-কালেরকণ্ঠ