ভাড়া লাইসেন্স দিয়ে বেনাপোল বন্দরে শুল্ক ফাঁকির মহাউৎসব

    0
    231

    “এজেন্টকে ১০লাখ জরিমানা”

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১১সেপ্টেম্বর,এম ওসমান: বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে অর্ধকোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আমদানি করা ভারতীয় থ্রি-পিসের একটি চালান পাচার করার সময় বুধবার সন্ধ্যায় একটি ভাড়াটে সিএ্যান্ডএফ এজেন্টকে জরিমানা করেছে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বেনাপোল বন্দরের মেসার্স রাইভি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল বিভিন্ন সিএন্ডএফর লাইসেন্স ভাড়া করে শুল্ক ফাঁকির মহা উৎসব চালিয়ে যাচ্ছে।

    সোনারগাঁ এজেন্সি নামের সেই সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট (মেসার্স রাইভি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ভাড়া করা লাইসেন্স) চালানটি খালাসের চেষ্টা চালায়। একই সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এর আগেও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পণ্য পাচারের একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে বেনাপোল কাস্টমসের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

    বেনাপোল কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের উপ-পরিচালক এম এম শরিফুল আলম জানান, গত ৩১ আগস্ট মেনিফিস্ট নং ৩৭৬০৭-এর বিপরীতে ঢাকার আমদানিকারক দি ওয়ান ইন্টারন্যাশনাল ভারতের রফতানিকারক বালাজি ট্রেডিংয়ের কাছ থেকে ২৫ হাজার ৫৮০ মার্কিন ডলার মূল্যের ৫ হাজার ৫০০টি থ্রি-পিস ও ২ হাজার ৫০০ কেজি ফেব্রিক্স (কাপড়) আমদানি করে। পণ্যচালানটি ছাড় করানোর জন্য সোনারগাঁ এজেন্সি (মেসার্স রাইভি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ভাড়া করা লাইসেন্স) নামের একটি সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট কাগজপত্র দাখিল করে।

    শুল্ক কর্তৃপক্ষ পণ্যচালানটির পরীক্ষা শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করে। এটি খালাসের সময় কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পণ্যচালানটির খালাস প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। পরে যৌথভাবে পুনঃপরীক্ষণের নির্দেশ দেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার। যৌথ পরীক্ষণে পণ্যচালানের মধ্যে ১৪ হাজার ৫০০টি থ্রি-পিস ও ৩ হাজার ৫৭৯ কেজি ফেব্রিক্স পাওয়া যায়, যা ঘোষণার প্রায় তিনগুণ। পরে পণ্যচালানটি আটক করে কাস্টমস ও গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। এ পণ্যচালানটি থেকে ৪৪ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল বলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়।

    সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র জানায়, দি ওয়ান ইন্টারন্যাশনাল-এর মালিক পক্ষ দুদকের ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল কাস্টম্স থেকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা নিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

    পরে আমদানিকারক বিচারের মাধ্যমে পণ্যচালানটি খালাস নিতে আবেদন করলে এ চালানটি থেকে শুল্ককরাদি বাবদ অতিরিক্ত ৫৪ লাখ টাকা এবং জরিমানা বাবদ ১০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করে পণ্য চালানটি খালাস দেয়া হয়।

    এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ জানান, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বন্দর থেকে পণ্য পাচারের অভিযোগে সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারকের বিরুদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।