ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি নড়াইলের দাদাবাবু প্রণব মুখার্জির

    0
    238

    আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ পূজাঁসহ নানা কর্মসুচি

    নড়াইল প্রতিনিধি: বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ভারতের ১৩ তম সাবেক রাষ্ট্রপতি ভারতরত্ন ও পদ্মভূষণ নড়াইলের দাদাবাবু (জামাই ) বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ প্রণব মুখার্জীর আত্মার শান্তি কামনায় নড়াইলে বিশেষ পূজাঁসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালিত হয়েছে।
    শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে সদর উপজেলা তুলারাম ইউনিয়নের প্রনব পত্নী শুভ্রামূর্খাজীর মামা বাড়ীর কালী মন্দির ও রাধা গোবিন্দ মন্দির চত্বরে এ উপলক্ষ্যে প্রণব মুখার্জীর আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ পূজাঁ,গীতা পাঠ,গীতা দান,নামকীর্ত্তন, অন্ন ও বস্ত্র বিতরণ এবং তার কর্মময় জীবনের উপর স্মৃতিচারন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সভা শেষে ৩২০ জন গরীব-দরিদ্রের মাঝে শাড়ি,লুঙ্গি ও ধুতি বিতরণ করেন অতিথিরা। স্মৃতিচারন সভা ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা ।
    শুভ্রা মূর্খাজী ফাউন্ডেশন, নড়াইলের সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)।
    শুভ্রা মুখার্জী ফাউন্ডেশনের পরিচালক অয়ন কুমার ঘোষ, প্রনবপত্নী শুভ্রামূর্খাজীর মামাতো ভাই কার্তিক ঘোষ, বিশ্বনাথ ঘোষ, শুভ্রা মুখার্জী ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাগন, প্রনবপত্নী শুভ্রামূর্খাজীর আত্মীয়রাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য,২০১৩ সালের ৩ মার্চ বাংলাদেশে ৩ দিনের সফরে আসেন নড়াইলের দাদাবাবু ভারতের তৎকালিন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি । ৫ মার্চ মঙ্গলবার শেষ দিনের কর্মসূচির মধ্যে ছিল শ্বশুরবাড়ি নড়াইলের ভদ্রবিলা গ্রামে বেড়ানো। ২০১৩ সালের ৫ মার্চ সকাল সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি হেলিক্যাপ্টারে করে তিনি ও তার অসুস্থ স্ত্রী শুভ্রা মুর্খার্জী এবংএক কন্যাকে সাথে নিয়ে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন। তারপর তিনি নড়াইলের মেয়ে স্ত্রী অসুস্থ শুভ্রা মুখার্জিকে নিয়ে গাড়ি যোগে ছুটে যান সদরের বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের ভদ্রবিলা গ্রামে শুভ্রা মুখার্জির পৈত্রিক ভিটায় তার শ্বশুরালয়ে।

    নড়াইলবাসী তাকে জামাইবরণ করে জামাইকে ধান, দূর্বাঘাস, মঙ্গলপ্রদীপ, শঙ্খ এবং উলুধ্বনি দিয়ে বরণ করে নেন শ্বশুরালয়ের সদস্যরা। পরে নড়াইলের বিখ্যাত ক্ষিরের সন্দেশ, নারকেলের নাড়ু, ডাব, দেশি বরই, কুল বরই ও কলা দিয়ে অ্যাপায়ন করা হয়। তার মৃত্যুতে নড়াইলে শোকের ছায়া নেমে আসে।