ভাবনাঃকরোনা প্রতিরোধে এ মুহূর্তে যা করনীয়

0
780
ভাবনাঃকরোনা প্রতিরোধে এ মুহূর্তে যা করনীয়
ভাবনাঃকরোনা প্রতিরোধে এ মুহূর্তে যা করনীয়


সম্পাদকীয়ঃ সংকট কালে দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্যতা রক্ষা করতে হলে সাপ ও মারতে হবে লাঠিও রক্ষা করতে হবে ।কেননা জীবন থাকলে জীবিকার প্রয়োজন। আরবিতে একটি প্রবাদ আছে “প্রয়োজন আইন মানে না”সে টি ও বিবেকে রাখতে হবে।অপরদিকে এটাও সত্য জন্ম মৃত্যু একটি নির্ধারিত সীমানায় বন্দী। তবুও ধর্মকর্মের মাধ্যমে এর উন্নতি সাধন ও সম্ভব বলেই সকল ধর্মে এর বহু ইঙ্গিত রয়েছে, তাই সকল ধর্মীয় পণ্ডিতদের অসুখবিসুখে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে দেখা যায়,কেহই ঘরে বসে থাকে না এই বলে যে “যা হবার তো হবেই”। যাই হোক সে দিকে না গিয়ে যখন যে সমস্যা সেটি নিয়ে কথা বলি। কেননা ধরণী আজ করোনা আতঙ্কে শঙ্কিত ও ক্ষতিগ্রস্থ। ইতিমধ্যেই অনেকে স্বজনদের হারিয়ে দিশেহারা। আর সেই আতঙ্ক থেকে প্রথমে ব্যক্তিগত এবং পারাবিরিক শতভাগ সচেতনতাই পারে আমাদের সাহস শক্তি ও কাউকে ঘৃণা না করে সমুহবিপদের সাথে মোকাবেলা করতে।ইনশাল্লাহ আত্মসচেতনতা ও আত্মবিশ্বাস এবং একে অপরের প্রতি ভালবাসা প্রতিষ্ঠা লাভ করলে তবেই আমরা সফল হব বলে আশাকরি।
এবার আসুন মুল আলোচনায়।দেশসহ প্রতিবেশী রাষ্ট্র ও সকল প্রবাসীরা মহাঝুঁকিতে। প্রতিবেশীর ঘরে অগ্নি কাণ্ড ঘটলে নিজের ঘরটি নিরাপদ থাকবে তা ভাবা মহা-বোকামি।
আমার ভাবনায় করোনা প্রতিরোধে এই মুহূর্তে যা করনীয়ঃ করোনা সংক্রান্ত প্রতিরোধ কাজে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবী,প্রশাসনের সকল সদস্যকে পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।সম্প্রতি যা দেখা যাচ্ছে অনেকেই বাহিরে ক্যামেরার সামনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেও ক্যামেরা অফ হয়ে গেলে ভিন্ন চিত্র ফুটে উঠছে। এই ভিন্ন চিত্র শতভাগ বন্ধ করতে হবে।এর অমান্যকারিদের লগু বা ভারী শাস্তির আওতায় এনে উদাহরণ তৈরি করতে হবে দেশব্যাপী।রাস্তায় রাস্তায় গাড়ী আটকিয়ে গনজমায়েত সৃষ্টি না করে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করে এলাকা স্থানান্তর নিশ্চিত করে সচেতনতার সাথে সাথে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য কারীকে জরিমানা নিশ্চিত করতে হবে,কোন চালক বা দোকানদার মাস্ক বিহীন যাত্রী বা মাস্ক বিহীন ক্রেতার প্রশ্রয় দিলে ওই গাড়ী/যানবাহন বা দোকান অথবা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা অথবা প্রয়োজনে চলাচলে অথবা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাসহ কর্মরত শ্রমিকের বেতন ভাতা নিশ্চিত করে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সিলগালা করে দিতে হবে।

যানবাহন (সকল শ্রেণীর) বা সকল প্রতিষ্ঠানে চলাচলকারীদের দেহের তাপমাত্রা মাপার মাধ্যমে শহরে প্রবেশ অথবা বাহিরে যেতে অথবা এলাকা স্থানান্তরে চেক পোষ্ট নিশ্চিত করা। দেহের তাপমাত্রায় সন্দেহ প্রমাণ হলে পূর্ণ ঠিকানা ফোন নম্বারসহ নোট করে নিকটবর্তী অভিভাবকের মাধ্যমে সতর্কতার সাথে চলাফেরার প্রয়োজনে দ্রুত করোনা টেস্ট এর ব্যবস্থা করে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করা। সন্দেহজনক রোগীর কৃত নোট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করতে হবে।প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ওই গুলো তদারকি করতে প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে।সরকারি বেসরকারি যে কোন জনবহুল প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে পুলিশ বা র‍্যাব এর সহযোগিতায় ঘনঘন আকস্মিক অভিযান চালিয়ে একাধিক লোকের মধ্যে একজনকেও যদি মাস্কবিহিন পাওয়া যায় তাদের অথবা তাদের দায়িত্ব শীল উপস্থিত কর্মকর্তাকে পূর্বাপর ঘটনা বুঝে শুনে জরিমানা অথবা আইন অমান্যকারি হিসেবে ঘৃণা কার্ড ঝুলিয়ে দিয়ে সতর্ক করতে হবে।গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এই মুহূর্তে অযথা যানবাহন আটকিয়ে এর অজুহাতে ঘুরাফেরা করা বন্ধ করতে হবে।কোন প্রকার সঙ্গত কারণে কোন যানবাহন আটক করলে নির্দিষ্ট সময়ের স্লিপ দিয়ে বলে দিতে হবে পরবর্তি নির্দিষ্ট সময়ে আটককৃত গাড়ী বা যানবাহন ছাড়া পাবে এর জন্য কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন এমনকি মধ্যস্থতাকারীর অংশগ্রহণ মোটেই গ্রহণযোগ্য করা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নিজেকে করোনামুক্ত মনে করে অন্যকে করোনা মুক্তির জন্য মাস্ক বিতরণ বন্ধ করতে হবে।দল বেঁধে একজনকে ৫/১০ জনে মিলে ছবি তুলে হাস্যকর অনুদান প্রদান নিরুৎসাহিত করতে হবে। পিছিয়ে পরা পরিবারে কোন প্রকার সামগ্রী না দিয়ে নগদ টাকা প্রদানের ব্যাবস্থা গ্রহণ করা। স্বাস্থ্যবিধি পালনে নিরুৎসাহিতকারী ও গুজব রটনাকারীদের জরিমানা নিশ্চিত করতে হবে।

ইউপি সদস্য/চেয়ারম্যান/রাজনৈতিক নেতা কর্মি ও স্বেচ্ছাসেবক,সমাজ কর্মিদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে নিজ নিজ এলাকায় মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে ধারাবাহিক কাজ করতে উৎসাহিত করতে হবে।গ্রাম ভিত্তিক মাস্ক পরিধানে সচেতন কমিটি গঠন করতে হবে। ধর্মিয় নেতাদের মাস্কের পক্ষে বক্তব্য রাখতে বাধ্য করতে হবে।একাধিক করোনা পজিটিভ এলাকায় চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও মাস্ক পরিধান শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে একই সাথে ওই এলাকায় খাদ্য, ঔষধ এর ব্যবস্থা করতে হবে যাতে করে কোন বাহানায় ঘুরা ফেরা করার সুযোগ না থাকে। প্রবাসীদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। সীমান্তে চলাচল শতভাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এমন কি সরকারী কর্মকর্তাদেরও বিদেশফেরত হলে কোয়ারেন্টাইন শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।প্রতিটি মসজিদ মন্দিরে হাত ধৌতের জন্য সাবান বা সেনিটাইজার রাখতে বাধ্য করতে হবে এবং আগত ও অবস্থানকারীদের মাস্ক পরিধানসহ তাপমাত্রা মেপে প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ক্রমশঃ