বড়লেখায় বানের পানি ও নৌকা ডুবে পৃথক ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু

0
283
বড়লেখায় বানের পানি ও নৌকা ডুবে পৃথক ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
বড়লেখায় বানের পানি ও নৌকা ডুবে পৃথক ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু

আফজাল হোসেন,বড়লেখা প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর গ্রামে নৌকা ডুবে নিখোঁজের ১৪ ঘন্টা পর রোববার (২জুলাই) সকাল ৯টায় সুড়িকান্দি ছালিয়াবন্দ এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ কয়েছের লাশ ভেসে উঠেছে। তিনি তালিমপুর গ্রামের মৃত সফিক উদ্দিন বলাইর ছেলে। কয়েছ দীর্ঘদিন ধরে স্বপরিবারে গাজিটেকা গ্রামে বসবাস করছেন।

এদিকে, পৃথক ঘটনায় শনিবার ১ জুলাই সন্ধ্যায় বানের পানিতে ডুবে নিহত বৃদ্ধ আব্বাস আলীর লাশ উদ্ধার করেছেন স্বজনরা। তিনি পেনাগুল গ্রামের মৃত আব্দুল বারির ছেলে। বন্যার পানি ডিঙিয়ে ভাতিজার বাড়িতে ভাত খেতে যাওয়ার পথে গভীর পানিতে ডুবে যান।

এলাকাবাসী নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় বড়লেখা হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ কয়েছ ও তার বড়ভাই আব্দুল রউফ নৌকায় মাছ ধরতে উপজেলার সুড়িকান্দি ছালিয়াবন্দে যান। এসময় হঠাৎ নৌকাটি ডুবে যায়। পরে আব্দুল রউফ সাঁতরে পারে উঠতে পারলেও আব্দুল আজিজ কয়েছ বন্যার পানিতে তলিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন দীর্ঘ চেষ্টা চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। খবর পেয়ে রাত ৮ টায় ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। তবে রাত অনেক হওয়ায় তারা উদ্ধার অভিযান চালাতে পারেনি। এদিকে, রোববার সকাল ৯ টায় আব্দুল আজিজ কয়েছের (৪৫) লাশ ভেসে উঠে। পরে স্থানীয়রা লাশটি উদ্ধার করেন।

অপরদিকে উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের পেনাগুল গ্রামের মৃত আব্দুল বারির ছেলে হতদরিদ্র বৃদ্ধ আব্বাস আলী (৮২) শনিবার বিকেলে বন্যায় নিমজ্জিত রাস্তার পানি ডিঙিয়ে ভাত খেতে ভাতিজার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। রাস্তা হারিয়ে হঠাৎ তিনি গভীর পানিতে পড়ে যান। সন্ধ্যায় স্বজনরা তার লাশ উদ্ধার করেন।

বড়লেখা ফায়ার স্টেশন অফিসার মো. শামীম মোল্লা জানান, রাতে ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে রাত অনেক হওয়ায় উদ্ধার অভিযান চালানো যায়নি। স্থানীয় লোকজন উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েও নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান পাননি। রোববার সকালে সিলেট থেকে প্রশিক্ষিত ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালানোর জন্য আসে। কিন্ত এরমধ্যে সকাল নয়টায় লাশ ভেসে উঠায় ডুবুরি দল ফিরে গেছে।

বড়লেখা থানার এসআই আতাউর রহমান বলেন, নিহত আব্দুল আজিজ কয়েছ ও বৃদ্ধ আব্বাস আলীর পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় তারা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। অনুমতি পাওয়ায় স্বজনদের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।